শৈশবের স্মৃতি বেশিরভাগ সময়েই মধুর হয়। কলেজে পড়ার সময় মনে হয়, ইস স্কুল জীবনটাই ভালো ছিল। আবার যখন সংসার ধর্ম শুরু হয়, তখন মনে হয় শৈশব টা বেশি ভালো ছিল। খাওয়া দাওয়া, খেলাধুলা ঘুম, আর রোজ নিয়ম করে পড়তে বসা। বিশেষ করে শুভশ্রী ও পরমব্রত (Subhashree Ganguly and Parambrata Chatterjee) যখন ছোট ছিলেন, তখন না ছিল ইন্টারনেট না স্মার্ট ফোন। সেইসময় খেলাধুলা করা, মাঠে যাওয়া, বিকেল হলেই দল বেধে খেলা করার একটা অভ্যাস ছিল। দৈনন্দিন রুটিনঅনুযায়ী খেলাধুলা মাস্ট। কিন্তু, আজকের সময় কোথায় আউট ডোর গেম? সবটাই এখন মুঠো ফোনে বন্দী
সম্প্রতি মুক্তি পেতে চলেছে রাজ চক্রবর্তীর ‘হাবজি গাবজি’। অভিনয়ে রয়েছেন শুভশ্রী গাঙ্গুলি, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। এখানে গল্পের বিষয় হল মোবাইল ফোন, শৈশব, ও দম্পতির জীবন। কিভাবে। মুঠোফোন এবং ইন্টারনেট আমাদের শৈশব নষ্ট করছে তারই প্রতিচ্ছবি হল ‘হাবজি গাবজি’। একেবারে ট্রেন্ডিং টপিক হল এই গল্পের মূল বিষয়।
নতুন, এই সিনেমায় একটা সুন্দর মেসেজ আছে প্রত্যেক বাবা মায়ের জন্য। বিষয় একটাই, মোবাইল ও ইন্টারনেট হল কাজের জিনিস। অযথা এর পিছনে সময় ব্যয় করা মানে হল নিজের সার্বিক উন্নয়নের ক্ষতি। আমাদের ইন্দ্রিয় গুলো ধূসর হয়ে যায় অতিরিক্ত ফোন ব্যবহারে। বিশেষ করে বাচ্চাদের থেকে মোবাইল দূরে রাখাই উচিত, এতে করে এদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে।
সম্প্রতি, ছবির প্রচারে ব্যস্ত পরম ও শুভ। এক সংবাদমাধ্যমে এসে এঁরা নিজেদের ছোটবেলার গল্প বললেন। অভিনেত্রী শুভশ্রী তার শৈশবের স্মৃতি মন্থন করে হাসতে হাসতে বলেন, ‘ছোটবেলায় আমি ভয়ঙ্কর দুরন্ত ছিল। যাকে বলে গেছো। এতটাই যে রাস্তায় ছেলেদের ধরে ধরে মারতাম। পাড়ার পার্টি অফিস থেকে বাবার কাছে হামেশাই অভিযোগ আসত। ঘটনার কথা বলতে শুরু করলে গোটা দিন লেগে যাবে।’ পরমব্রত চুপ ছিলেন না। তিনিও তার শৈশবের টুকরো স্মৃতি তুলে বলেন, ‘আমি ছিলাম মিচকে শয়তান। আমার মুখ দেখে কেউ বুঝতেই পারত না আমি বদমাইশি করার ক্ষমতা রাখি এতটা। সবাই ভাবত, ‘এত মনখারাপ একটা মুখ.. আহারে ও এরকম করতে পারে..’ কিন্তু আমার অ্যান্টেনাগুলো খুব সজাগ থাকত। সব বদমাইশির পরিকল্পনা করতাম আমি কিন্তু ঠিক বুঝতে পারতাম টিচার আসছে। সবার আগে সরে যেতাম ঘটনাস্থল থেকে। একটা ঘটনার কথা মনে আছে। তখন খুব ছোট আমি, ক্রেশে থাকি। ঘরের কোনে অনেকগুলো গদি রাখা ছিল। আমি সব বাচ্চাদের জুটিয়ে রাজি করালাম, ওগুলোর ওপর উঠে লাফাব। যেমন কথা তেমন কাজ। পুরো ঘর যখন লন্ডভন্ড, আমি বুঝতে পারলাম কেউ আসছেন। সঙ্গে সঙ্গে গদি থেকে নেমে আমি ঘরের কোণে। টিচার যখন ঘরে এলেন, দেখলেন সবাই গদির ওপর উঠে লাফাচ্ছে আর আমি ঘরের এক কোণে বসে জানলার দিকে তাকিয়ে আছি বোকার মতো। টিচার সবাইকে বকুনি দিয়ে বললেন, ‘ওকে দেখো, ও কোনও বদমাইশিতে নেই.. ওর থেকে শেখো..’ পরম শুভর আড্ডার মাঝেই জানা গেল যে আগামী ৩ জুন মুক্তি পাচ্ছে ‘হাবজি গাবজি’ (Habji Gabji)।