whatsapp channel

Pallavi Dey: খালি হলো কোল, মেয়েকে হারিয়ে অসুস্থ পল্লবীর মা

চলে গিয়েছেন পল্লবী দে (Pallavi Dey)। নিজের মৃত্যু নিয়ে রেখে গিয়েছেন একরাশ প্রশ্ন। প্রাথমিক পোস্টমর্টেম রিপোর্টে আত্মহত্যার ইঙ্গিত মিললেও পুলিশ বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টের অপেক্ষায়। একই সঙ্গে মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে…

Avatar

Advertisements
Advertisements

চলে গিয়েছেন পল্লবী দে (Pallavi Dey)। নিজের মৃত্যু নিয়ে রেখে গিয়েছেন একরাশ প্রশ্ন। প্রাথমিক পোস্টমর্টেম রিপোর্টে আত্মহত্যার ইঙ্গিত মিললেও পুলিশ বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টের অপেক্ষায়। একই সঙ্গে মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারেন, তা মানতে নারাজ পল্লবীর মা-বাবা। তাঁদের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছেন পল্লবীর লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তী (Sagnik Chakraborty)। পল্লবী হয়তো কখনও বিচার পাবেন। কিন্তু তাঁর মা ফিরে পাবেন না নিজের প্রাণবন্ত মেয়েকে। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন পল্লবীর মা সঙ্গীতা দে (Sangita Dey)।

Advertisements

মায়ের অত্যন্ত কাছের ছিলেন পল্লবী। ‘দিদি নং ওয়ান’-এ মায়ের সাথে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু সেইসব স্মৃতি আপাতত মনের মণিকোঠায়। পল্লবীর এই দাদা জানিয়েছেন, সঙ্গীতা সুগার পেশেন্ট। শারীরিক অসুস্থতার সাথেই রয়েছে মানসিক চাপ। সব মিলিয়ে অত্যন্ত ভেঙে পড়েছেন তিনি। তার উপর চারিদিকে বয়ে চলেছে কটাক্ষের স্রোত। সন্তানহারা মা-বাবার প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার বদলে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের ট্রোল করা চলছে।

Advertisements

 

View this post on Instagram

 

A post shared by mistuu (@pallavidey153)

Advertisements

নেটিজেনদের একাংশ বলছেন, মা-বাবার শাসনের অভাবে পল্লবী নষ্ট হয়ে গিয়েছিলেন। অনেকের মতে, মা-বাবা পল্লবীকে লিভ-ইনের অনুমতি দিয়ে তাঁর জীবনের ক্ষতি করে দিলেন। অপরদিকে পল্লবীও মা-বাবার সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দূরত্ব বজায় রাখতেন। সাগ্নিকের বুদ্ধিতে এই কাজ করছিলেন তিনি। হয়তো শেষ মুহূর্তে মনে পড়েছিল মায়ের কথা। নিজের ভুল বুঝতে পেরেই ধোঁকার ডালনার রেসিপি জানার ছলে ফোন করেছিলেন মাকে। বর্তমানে সঙ্গীতা অসুস্থ। পল্লবীর বাবা নীলু দে (Nilu Dey) একটু সুবিচার পাওয়ার আশায় আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন। থানা-পুলিশ ও আদালত করে এই বয়সে তিনিও ক্লান্ত।

Advertisements

পল্লবীর বন্ধু অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তী (sayak Chakraborty)জানিয়েছেন, পল্লবী তাঁর মা-বাবাকে খুবই ভালোবাসতেন। কিন্তু সাগ্নিককে নিয়ে ইদানিং ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তবে মা-বাবার গুরুত্ব কম হয়নি তাঁর কাছে। অপঘাতে মৃত্যু হওয়ায় সমস্ত নিয়ম মেনে হাওড়ার রামরাজাতলার বাড়িতে তিন দিনের দিন পল্লবীর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

পল্লবী আদৌ আত্মহত্যা করেছেন কিনা তা নিশ্চিত নয়। তবে ‘হুপহাপ’ (HOOPHAAP)-এর তরফ থেকে সকলের প্রতি বিনীত আবেদন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একবার ভেবে দেখবেন সেই মানুষগুলির কথা যাঁরা আপনাকে ভালোবাসেন, আপনাকে অনেক কষ্টে পৃথিবীতে এনেছেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে সন্তানরা তো পৃথিবী থেকে চলে যান। কিন্তু তিলে তিলে নিজেদের শেষ করে দেন সন্তানহারা মা-বাবারা।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by mistuu (@pallavidey153)

whatsapp logo
Advertisements