ঋতুচক্র সম্পর্কে মহিলাদের অনেকেই কথা বলতে লজ্জা পান। কিন্তু এই ঋতুচক্রের সঠিক নিয়ম মহিলাদের শারীরিক ভারসাম্য রক্ষা করে। এখনও অবধি মহিলারা খোলাখুলি ঋতুচক্র নিয়ে কথা বললে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের ট্রোল করা হয়। কখনও বা আশেপাশের মানুষজনের বাঁকা দৃষ্টি সহ্য করতে হয়। মহিলাদের সীমা-পরিসীমা বোঝাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন সকলে। কিন্তু মহিলারা যদি মহিলাদের সমস্যা নিয়ে কথা না বলেন, তাহলে সচেতনতা তৈরি করা সম্ভব নয়। এবার ঋতুচক্র বিষয়ে মুখ খুললেন দীপিকা পাড়ুকোন (Deepika Padukone)।
বিশ্ব ঋতুচক্র বিষয়ক স্বাস্থ্য সচেতনতা দিবসের কয়েক ঘন্টা আগে একটি ভিডিওতে নিজের ‘পিরিয়ড স্টোরি’ শেয়ার করলেন দীপিকা। দীপিকা জানান, স্কুলে ঋতুচক্র সংক্রান্ত পড়াশোনা করার আগেই নিজে এই বিষয়ে তাঁর মায়ের কাছে জেনেছিলেন তিনি। দীপিকা এখনও সেই দিনটা ভুলতে পারেন না যখন তাঁকে ও তাঁর প্রিয় বন্ধু দিব্যাকে তাঁর মা বসিয়ে ঋতুচক্র সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বলেছিলেন। ঋতুচক্র কি ও কেন হয়, সবই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। দীপিকা তাঁর মায়ের কাছে কৃতজ্ঞ, তিনি সেদিন সবকিছুই অত্যন্ত সহজ করে বুঝিয়েছিলেন বলে।
দীপিকা মনে করেন, মহিলাদের জীবনে বড় হয়ে ওঠার অন্যতম একটি ধাপ হল ঋতুচক্র। এই কারণে ‘পিরিয়ড স্টোরি’ ভিডিওটি তাঁর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর আগেও দীপিকাকে ঋতুচক্র সম্পর্কে মহিলাদের মধ্যে প্রচার করতে দেখা গেছে। একবিংশ শতকেও ভারতের বিভিন্ন স্থানে ঋতুচক্র হলে একটি মেয়েকে অশুচি মনে করা হয়। বেশ কয়েকটি গ্রামে ঋতুচক্র হলে মেয়েদের গ্রামের বাইরে একটি কুঁড়েতে কিছুদিন থাকার নিয়ম রয়েছে। এর ফলে মহিলারা দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন। কয়েক বছর আগে মহারাষ্ট্রের একটি গ্রামে এই ধরনের কুঁড়েতে ঋতুকালীন সময়ে থাকতে গিয়ে সাপের কামড়ে একটি মেয়ের মৃত্যু হয়।
এখনও অবধি অধিকাংশ মন্দিরে মেয়েরা ঋতুমতী হলে তাঁদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পুজোর কাজে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয় না। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এটা বোঝা প্রয়োজন, ঋতুচক্র কোনো ট্যাবু নয়, এটি অত্যন্ত স্বাভাবিক প্রাকৃতিক নিয়ম।
View this post on Instagram