Who is kk? এই তিনটি শব্দ এখন লোকের মুখে মুখে। নাহ্, রূপঙ্কর বাগচী ক্ষমা চেয়েছেন এবং ফেসবুক ভিডিও ডিলিট করেছেন ঠিকই, কিন্তু মানুষ এখনও রূপঙ্কর বাগচীর শব্দে ক্রোধে টইটুম্বুর। রূপঙ্কর নিজেও একজন দুর্দান্ত শিল্পী। অথচ অন্য শিল্পীর মর্যাদা হানি করতে বসে গেলেন। মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে রূপঙ্কর যেই যেই শব্দ প্রয়োগ করেছেন তার খেসারত দিতে হচ্ছে বাকি শিল্পীদের, বিশেষত যারা সঙ্গীত জগতের সঙ্গে যুক্ত। যেমন – স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত (Swagatalakshmi Dasgupta)।
রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়িকির জগতে স্বাগতালক্ষ্মী একটি জনপ্রিয় নাম। এখনও পর্যন্ত তিনি গীতবিতানের সবকটি গান গেছেন। এমনকি, এক টানা ১৬৬ দিন একের পর এক গান ইউটিউবে আপলোড করে বিশ্বরেকর্ড করেছেন স্বাগতালক্ষ্মী। এই মানুষটিকে শুনতে হয় – “হু ইজ স্বাগতালক্ষ্মী?”
তাহলে কি রূপঙ্কর বাগচীর ক্রোধ এখন অন্যান্য শিল্পীদের উপর? ঠিক কী হয় ঘটনাস্থলে? গত বুধবার স্বর্ণাশিস মুখোপাধ্যায়ের বউভাতে নিমন্ত্রিত ছিলেন গায়িকা। সেখানে তিনি যাওয়া মাত্র প্রায় সমস্ত মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ে দেখার জন্য, সেলফি নেওয়ার জন্য। এতেই রেগে যান নতুন বউয়ের মা। তিনি চিৎকার করে বলেন “হু ইজ স্বাগতালক্ষ্মী? বেরিয়ে যান এখান থেকে”।
আহত হয়েছেন গায়িকা। চূড়ান্ত অপমান তার হয়তো কাম্য নয়। কিন্তু, গোটা সমাজ ফুঁসছে kk র মৃত্যু নিয়ে। বিনা চিকিৎসায় এবং বিনা পরিচর্চায় মানুষটি মারা যান হোটেলের মধ্যেই। তার মধ্যে আগুনে ঘি ঢালেন রূপঙ্কর। সেই ক্রোধ নিয়ন্ত্রনে আনতে পারেনি মানুষ। তারই প্রতিফলন ঘটে ওই বিয়ে বাড়িতে। এই ব্যাপারে গায়িকা বলেন যে রূপঙ্কর ওই আত্মঘাতী ভিডিওটা না করলেই পারত। তিনি এও বলেছেন যে তিনি নিজে রূপঙ্কর বাগচীর গানের ভক্ত, তাই বলে তার ভিডিওর সমর্থন তিনি করেন না।