বলিউডের নবাগতা নায়িকা অথবা মহিলা সাংবাদিক, প্রায় প্রত্যেকেই জানিয়েছেন শাহরুখ খান (Shahrukh Khan) তাঁদের যথেষ্ট সম্মান প্রদর্শন করেন। একজন তারকা হওয়া সত্ত্বেও শাহরুখ কিন্তু মহিলাদের বসার জন্য নিজের হাতে চেয়ার এগিয়ে দেন। একবিংশ শতকে প্রায়ই ট্রোল হতে মহিলাদের। হতে হয় বডি শেমিং-এর শিকার। কিছুদিন আগে শাহরুখ মুখ খুলেছিলেন এই প্রসঙ্গে। তিনি ট্রোলারদের কটাক্ষ করে বলেছিলেন, মহিলাদের স্তনের বাইরেও একটা জগৎ আছে।
প্রকৃতপক্ষে, শাহরুখ বোঝেন মহিলাদের গুরুত্ব। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, মাত্র 14 বছর বয়সে পিতৃহারা হওয়ার পর তাঁর মায়ের সংস্পর্শেই বড় হয়ে উঠেছেন তিনি। বাড়িতে অপর কোনো পুরুষ জীবিত ছিলেন না। পরিবারে ছিলেন মা, তিন মাসি ও দিদিমা এবং শাহরুখের দিদি শেহনাজ (Shehnaz)। ফলে শাহরুখের জীবন প্রায় গড়ে দিয়েছেন মহিলারাই। একসময় মাও চলে গেলেন। শাহরুখের সাথে ততদিনে বিয়ে হয়েছে গৌরী (Gauri Khan)-এর। শাহরুখ, গৌরী ও শেহনাজ ছাড়া তাঁদের পরিবারে অপর কেউ ছিলেন না।
View this post on Instagram
পরবর্তীকালে শাহরুখের জীবনে আসেন তাঁর কন্যা সুহানা (Suhana Khan)। শাহরুখ জানিয়েছেন, কখনও মহিলাদের সাথে কাজ করতে তাঁর অসুবিধা হয়নি। কারণ তাঁকে নায়ক বানিয়েছেন মহিলারাই। শাহরুখের মতে, একসাথে কাজ করতে গিয়ে তিনি দেখেছেন, তাঁর মহিলা সহকর্মীরা পুরুষদের তুলনায় অনেক বেশি পরিশ্রমী। এমনকি তাঁরা এতটাই ডিসিপ্লিনড, শাহরুখ সেটে আসার চার-পাঁচ ঘন্টা আগে তাঁরা এসে পড়তেন। কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক বিশ্বে নারীদের আজও দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসাবে গণ্য হতে দেখে খারাপ লাগে শাহরুখের।
শাহরুখ জানিয়েছেন, মেয়েরাই তাঁকে শিখিয়েছিলেন কিভাবে মেয়েদের সাথে কথা বলতে হয়। কোনো অনুমতি নিতে গেলে মেয়েদের সাথে জোর করা পছন্দ করেন না শাহরুখ। তিনিও যে সুহানার বাবা।
View this post on Instagram