whatsapp channel

Prosenjit Chatterjee: কোন অভিনেতার থেকে হাঁটার স্টাইল অনুকরণ করেছিলেন প্রসেনজিৎ!

দীর্ঘদিন আগে একটি ইভেন্ট উপলক্ষ্যে কলকাতায় এসেছিলেন দেব আনন্দ (Dev Anand)। সময়টা নব্বইয়ের দশকের শেষ দিক। সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না। তবে প্রত্যেকটি নিউজ চ্যানেল ও সংবাদপত্র কভার করেছিল…

Avatar

Nilanjana Pande

দীর্ঘদিন আগে একটি ইভেন্ট উপলক্ষ্যে কলকাতায় এসেছিলেন দেব আনন্দ (Dev Anand)। সময়টা নব্বইয়ের দশকের শেষ দিক। সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না। তবে প্রত্যেকটি নিউজ চ্যানেল ও সংবাদপত্র কভার করেছিল ইভেন্টে দেব আনন্দের উপস্থিতি। এভারগ্রিন দেব আনন্দ সকলের নজর কেড়েছিলেন। কিন্তু সকলকে চমকে দিয়েছিল তাঁর খাওয়া-দাওয়া। ওই ইভেন্টে ছিল দেদার খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন। ইভেন্টে উপস্থিত তারকারা সবাই বিভিন্ন খাবারের স্বাদে মজলেও দেব সাহাবের প্লেটে কিন্তু ছিল এক টুকরো মাছ ভাজা ও প্রচুর স্যালাড। পরে সকলের অনুরোধ-উপরোধে দেব সাহাব প্লেটে তুলে নিয়েছিলেন এক পিস নলেনগুড়ের জলভরা সন্দেশ।

2011 সালে প্রয়াত হয়েছেন দেব আনন্দ। তাঁর জন্মশতবার্ষিকীতে দেব সাহাবের প্রিয় শহর ‘সিটি অফ জয়’ কলকাতার বুকে নন্দন সংলগ্ন গগনেন্দ্র শিল্প প্রদর্শনশালায় ‘এভারগ্রিন দেব আনন্দ’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন ‘ইন্ডাস্ট্রি’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। উনত্রিশ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের একটি বিশেষ অংশ এই প্রদর্শনী। প্রদর্শনীটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হরনাথ চক্রবর্তী (Haranath Chakraborty), শুভাপ্রসন্ন (Shubhaprashanna), অরিন্দম শীল (Arindam Shil), সুদেষ্ণা রায় (Sudeshna Roy) প্রমুখ ব্যক্তিত্ব। এদিন প্রদর্শনীতে এসে নস্টালজিয়ায় ভাসলেন প্রসেনজিৎ।

তাঁর বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Biswajit Chatterjee)-র সাথে যথেষ্ট ভালো সম্পর্ক ছিল দেব সাহাবের। সেই সময় নায়ক হওয়ার পথে প্রসেনজিৎ। মুম্বইয়ে সঙ্গীত পরিচালক বাপ্পী লাহিড়ী (Bappi Lahiri)-র বাড়িতে রাত দু’টোর সময় দেব আনন্দ এসেছিলেন ফিল্মের সঙ্গীত নিয়ে আলোচনা করতে। প্রসেনজিৎ অবাক হয়েছিলেন তাঁর ফিটনেস দেখে। তখন দেব সাহাবের যথেষ্ট বয়স হয়েছে। তবু তিনি সিঁড়ির দুটো ধাপ লাফিয়ে উঠতেন। তাঁর ফিটনেস অনুপ্রাণিত করেছিল নবাগত নায়ক প্রসেনজিৎ-কে। নিমেষে অনুকরণ করেছিলেন দেব সাহাবের হাঁটার স্টাইল। তারপর থেকে এখনও অবধি সিঁড়ির একটা ধাপে পা রাখেননি প্রসেনজিৎ। দেব সাহাবের মতো করেই লাফিয়ে সিঁড়ি ভাঙেন তিনি।

তাঁর প্রিয় ফিল্ম ‘হরেকৃষ্ণ হরেরাম’ ও ‘গাইড’। প্রসেনজিৎ-এর বয়ঃসন্ধিতে রিলিজ করেছিল এই ফিল্মগুলি। সেই সময় সারা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে পড়া হিপি সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে ভাই-বোনের সম্পর্ক নিয়ে এই ধরনের ফিল্ম দেব সাহাবের পক্ষেই বানানো সম্ভব ছিল বলে মনে করেন প্রসেনজিৎ। সময় অনেকটাই পেরিয়ে গিয়েছে। এক মহাতারকা জানতেই পারলেন না কখন তাঁর অনুপ্রেরণায় এক নবাগত নায়ক হয়ে উঠলেন ‘ইন্ডাস্ট্রি’।

whatsapp logo