whatsapp channel
Hoop Fitness

Lifestyle: বাড়ির বাচ্চা পড়াশোনায় একদম মন দিচ্ছেনা? ডায়েটে কোনো অপূর্ণতা নেই তো!

বাচ্চা কিছুতেই পড়াশুনো করতে চাইছে না। পড়াতে বসলেই তার মন এদিক ওদিক ঘোরে। পড়াশুনো মনে রাখতেও পারছে না। প্রায় স্কুলে বকা খাচ্ছে? আপনি হয়তো ভাবছেন আপনার সোনামনি কেন এরকম করছে। নাহ্, চিন্তার কোনো প্রয়োজন নেই। বাচ্চার জন্য একটা সঠিক ডায়েট নির্বাচন করুন। কারণ পেটে ঠিকঠাক খাবার গেলেই বুদ্ধি বাড়ে, কার্যক্ষমতা বাড়ে। যতক্ষণ না বাচ্চার বুদ্ধির বিকাশ হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত বাচ্চাকে দোষারোপ করা বন্ধ করুন।

দেখে নিন একটা সঠিক ডায়েট : –

১) প্রথমত বাচ্চার প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত বুকের দুধ দিন। বুকের দুধ পর্যাপ্ত না এলে, ফর্মুলা মিল্ক দিন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে।

২) ছয় মাস সম্পূর্ন হলে বাচ্চাকে দুধ সাবু চিনি ছাড়া জাল দিয়ে দিনে একবার দিন, পাশাপাশি বুকের দুধ ও ফর্মুলা মিল্ক দিন

৩) বাচ্চার আট মাস হয়ে গেলে একটু মুড়ি বেটে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে দিন, দুধ সাবু, সবজির স্যুপ, সেদ্ধ ডাল এর পাতলা জল, দিনে একবার সামান্য ভাত চটকে মেখে অল্প করে দিন।

৪) বাচ্চার বয়স ১০ মাস হয়ে গেলে খাঁটি গরুর দুধ পাতলা করে , মানে জল মিশিয়ে পাতলা করে, সাবু, মুড়ি, চিরে, খই চটকে কলার সঙ্গে দিন। সবজির স্যুপ, ভাত ডাল দেবেন, সম্ভব হলে খিচুড়ি একেবারে গলিয়ে অল্প করে দেবেন।

৫) বাচ্চার বয়স ১ বছর হতে যাচ্ছে, ওকে ডিমের কুসুম দিন ভেঙে ভেঙে, মাছের টুকরো দিন, ডাল, খিচুড়ি সবই দিন পরিমাণে অল্প করে। রুটি দুধে ভিজিয়ে দিন, চিনি ছাড়া।

৬) বাচ্চা এক বছর পার করে গেলে ওকে বিভিন্ন ধরনের মিল্ক সেক দিন। যেমন – আপেল সেদ্ধ, দুধের মধ্যে কলা, কাজু, আখরোট, পেস্তা, আমন্ড বেটে একেবারে তরল বানিয়ে ছোট এক কাপ দিন। চিনি দেবেন না, প্রয়োজনে মধু দিন।

৭) বাচ্চার বয়স দেড় বছর হলে চিকেন স্টু দিন। এক টুকরো চিকেন দেবেন। সাথে পেঁপে, গাজর, কড়াই শ্যুটি, আলু কম।

মোটকথা বাচ্চার খাবারে DHA রাখতে হবে। যেই ফর্মুলা মিল্ক দেবেন তাতে যেন DHA থাকে। DHA শিশুদের মস্তিষ্কের বৃদ্ধি এবং কার্যকরী বিকাশের জন্য অপরিহার্য। প্রাপ্তবয়স্কদের মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় রাখার জন্যও DHA প্রয়োজন।

whatsapp logo