“মহেশই বলেছিল সুশান্তকে ছেড়ে দাও”- সুশান্তের মৃত্যুতে মুখ খুললেন রিয়ার মা
সুশান্তের মানসিক সমস্যা কাটিয়ে উঠতে রিয়া তাকে প্রচুর সাহায্য করেছিলেন
সুশান্তের মৃত্যুর পর অভিনেতার বাবা কে কে সিং স্পষ্টই জানিয়ে দেন তিনি রিয়াকে চিনতেন না এবং রিয়ার সঙ্গে সুশান্তের প্রেমের সম্পর্কের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানতেন না। এবার রিয়ার পাশে এসে দাঁড়ালেন তার মা। তার দাবি বিশেষ বান্ধবী হয়ে রিয়া সুশান্তের জীবনে আসে, এরপর তাদের প্রেমের সম্পর্ক গাঢ় হয়, সুশান্তের মানসিক সমস্যা কাটিয়ে উঠতে রিয়া তাকে প্রচুর সাহায্য করেছিলেন।
রিয়ার মা সুহৃতা দেবীর এহেন বক্তব্যের পরই সমালোচনার ঝড় ওঠে। স্বভাবতই প্রশ্নের তীর ছুটে আসে তার দিকে, তাহলে মহেশ ভাটের সঙ্গে রিয়ার কি সম্পর্ক ছিল? এর উত্তরে রিয়ার মা জানান, সুশান্ত এবং রিয়া একে অপরকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সুশান্ত প্রচন্ড মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন, তার চিকিৎসা চলছিল। এই সময়ই মহেশ ভাটকে উপদেষ্টা হিসেবে পাশে পান রিয়া। মহেশই তাকে পরামর্শ দেন ওই অবস্থায় সুশান্তকে ছেড়ে চলে আসার জন্য।
যদিও এই উত্তরে চিড়ে ভেজেনি একেবারেই, রিয়ার সঙ্গে মহেশের ঘনিষ্ঠ ছবিগুলি একের পর এক তুলে এনে মন্তব্যের ঝড় তুলে দেন সমালোচকরা। ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট লিখে রিয়ার মা জানান, সুশান্তকে সারিয়ে তোলার প্রচুর চেষ্টা করেছিলেন রিয়া। সেই কারণেই মহেশ ভাটের অফিসে এসে বারবার পরামর্শ নিয়েছেন তার মেয়ে।
কিন্তু আসল চমক অন্যদিকে, রিয়ার মা এই পোষ্ট লেখেন সুশান্তের মৃত্যুর ঠিক পরপরই। সাধারণ মানুষ তখনই বুঝে উঠতে পারেননি তারা কাকে দোষারোপ করবেন এই মৃত্যুর জন্য। তবে কি তার মা আগেভাগেই বুঝে গিয়েছিলেন যে সন্দেহের তীর আগে তাদের দিকেই ধেয়ে আসতে পারে। সেই কারণেই হয়তো মেয়ের পক্ষ নিয়ে এই পোস্ট লিখেছিলেন তিনি। আবার শোনা যাচ্ছে, এই মহিলা সুহৃিতা দেবী আসলে রিয়ার মা নন, তিনি মহেশ ভাট ফিল্মসের এক কর্মী। ফেসবুকে তার বায়োতে এটাই লেখা রয়েছে এবং ওই মহিলা মহেশ ভাটকে ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করেছেন। যদিও পোস্ট মারফৎ মহিলা দুটি বিষয় নিশ্চিত করেছেন এক, রিয়া সুশান্তের ব্যাপারে মহেশের কাছে পরামর্শ নিতেন এবং দুই, মহেশই রিয়াকে বলেন সুশান্তকে ছেড়ে দিতে।