Arpita Mukherjee: কেন পোশাক নিয়ে সমস্যা অর্পিতার! জেলে নিঃসঙ্গ জীবন পার্থ বান্ধবীর
১৪ দিনের জেল হেফাজত এখনও চলছে। এখনও ইডি কোনো সদুত্তর পায়নি অর্পিতা ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের থেকে। টাকা কার প্রসঙ্গে যথাযথ উত্তর না পেলে এই কেস হয়তো চলতে থাকবে। তবে, আপাতত বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে গরাদে অন্যান্য ২০/২২ জন অপরাধীর সঙ্গে দিন রাত কাটাচ্ছেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা।
শোনা যায় যে, জেলের মধ্যেই সেলেবদের মতন দিন কাটাচ্ছেন অর্পিতা। ওই আর কি, কেউ তার বিছানা গুছিয়ে দিচ্ছে তো কেউ জামা কাপড় কেঁচে দিচ্ছে, তো কেউ খাবারের থালা এগিয়ে দিচ্ছে। একটা ছোট খাটো সেলিব্রিটি জীবন পাচ্ছেন অর্পিতা। কিন্তু, এরপরেও তার মনে দুঃখ। অন্যান্য সহযাত্রীদের সঙ্গে বিশেষ কথা বলেন না। একটা বই তার সঙ্গে আছে, সেটিও পড়া শেষ। হাতের কাছে নেই খাতা কাগজ কলম, যে তিনি কিছু লিখবেন।
এহেন, অর্পিতার অভিযোগ প্রথম দিকে ছিল মাছ, মাংস, ডিম নিয়ে। তার কথায়, শুকনো রুটি ডাল খাওয়া যায় না। জেলের কয়েদীদের অন্তত পক্ষে মাছ মাংস ডিম দেওয়া উচিত। এরপরে, অর্পিতার অভিযোগ যায় মহিলা জেলের কার্যক্ষমতা ও কর্ম পরিচালনার উপর। জেলের বাকি কয়েদীরা একবার করে হলেও বাড়িতে ফোন করার সুযোগ পায়। কিন্তু, অর্পিতা সেই সুযোগ পাচ্ছেন না বলে সূত্রের খবর। তার নিজের মায়ের জন্য বিশেষ চিন্তা হচ্ছে। অর্পিতার মা অসুস্থ এবং বয়সজনিত কারণে বেশি চলাফেরা করতে পারেন না। তাই তার খোজ নেওয়ার জন্য ব্যস্ত অর্পিতা।
এদিকে জেলে না আসছেন মা না দিদি। কেউই অর্পিতার সঙ্গে এখনও পর্যন্ত দেখা করতে আসেনি। এমনকি পাচ্ছেন না ধোঁয়া নতুন কোনো পোশাক। যেই অর্পিতা ব্র্যান্ডেড পোশাক, শাড়ি ছাড়া গায়ে তুলতেন না কিছুই, যার বাড়িতে গড়িয়া ও বারাসতের সাহা টেক্সটাইল থেকে দামী দামী পোশাক আসতো, সেই অর্পিতা এখন এক কাপড় ধুয়েই পরছেন। এতেই মন খারাপ অর্পিতার।