শ্যুটিং শেষ, সেদিন শেষ পাতে জুটেছিল বাসমতি চালের ভাত, ইলিশের মাথা দিয়ে ডাল, মটন আর মিষ্টি। শিল্পী কলাকুশলীরা মিষ্টি মুখে শ্যুটিং শেষ করলেও, দর্শকরা একেবারেই খুশি নয়। যারা সৌজন্য গুনগুনের লাভস্টোরি পছন্দ করেছেন, তাদের কাছে গুনগুন এর মৃত্যু একেবারেই না পসন্দ। কোনোভাবেই, দর্শক লেখিকার এমন লেখনী পছন্দ করছে না। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়কে রীতিমত দুষছেন।
এদিকে, দুই বছর আগের ‘খড়কুটো’র গল্প যেভাবে বেশি নম্বর পেয়ে ভালো স্কোর করতো টিআরপি চার্টে (TRP Chart), সেই গুনগুন সৌজন্যের গল্প ধীরে ধীরে অবনতির দিকে যায়। আসলে এত নতুন ধারাবাহিক আসছে, যাচ্ছে যে মানুষ বুঝতে পারছে না কোনটা দেখবো বা কোনটা দেখবো না। এভাবেই টিআরপি কমে আর বাড়ে।
সম্ভবত, আগামী বুধবার শেষ সম্প্রচার হবে ধারাবাহিক ‘খড়কুটো’র। টালিগঞ্জের স্টুডিয়োতে আর দেখা যাবে না শ্যুটিংয়ের ফাঁকে গুনগুন ওরফে তৃণা সাহার রিল কিংবা টিমের হুল্লোড়। এমনকি গল্পে গুনগুন এর মৃত্যু নিয়ে যথেষ্ট শোকাহত থাকবে গোটা পরিবার। সব মিলিয়ে দর্শকরা পাচ্ছে না হ্যাপি এন্ডিং, দুষ্টু মিষ্টি মেয়ের মৃত্যু যেন একেবারেই মানানসই নয় গল্পের সঙ্গে। এতেই দর্শকরা বেজায় চটেছেন লেখিকার উপর। যদিও লেখিকা নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ অ্যাক্টিভ নন, তবুও নিজের কাজ সংক্রান্ত বিষয়ে সমস্ত খবর রাখেন।
সম্প্রতি, এক সংবাদমাধ্যমে লেখিকা তার লেখনী, গুনগুন চরিত্র ও দর্শকদের আক্রোশ সবকিছুর উপর বিচার বিবেচনা করে জানান যে পেন বা কলম কখনো গণতন্ত্রের উপর নির্ভর করে চলে না। অর্থাৎ, মানুষ কি চাইলো বা চাইলো না তার উপর ভিত্তি করে গল্পের মোড় বা চরিত্রের পরিবর্তন করা যায় না। একজন লেখক বা লেখিকা নিজের ভাবনা চিন্তা দিয়েই একটি চরিত্র সাজান, তাকে জীবন দান করেন। তাই পুরো ব্যাপারটাই লেখক বা লেখিকার মস্তিষ্কপ্রসূত।