গত কয়েক বছর ধরে বারবার নেপোটিজম বিতর্কে সরব হয়েছে বলিউড। উত্তাল হয়েছে নেটদুনিয়া। স্টারকিডদের জন্য প্রকৃত শিল্পীরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে মনে করছেন অনেকে। এবার এই ধারণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখর হলেন আলিয়া ভাট (Alia Bhatt)।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে আলিয়া তাঁর প্রযোজিত ফিল্ম ‘ডার্লিংস’ সম্পর্কে কথা বলেন। এটি তাঁর প্রযোজনায় তৈরি প্রথম ফিল্ম। ‘ডার্লিংস’-এ আলিয়া মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ফিল্মের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে উঠে আসে নেপোটিজম বিতর্ক। নেপোটিজম বিতর্কের কারণে প্রতিনিয়ত ট্রোল হতে হয় স্টারকিডদের। আলিয়া মনে করেন, এই বিতর্ক বন্ধ করার একমাত্র উপায় হল ফিল্মে তাঁর অত্যন্ত ভালো অভিনয়। আলিয়া বিশ্বাস করেন, ট্রোলের উত্তর দিলে বাড়বে খারাপ লাগা। তবে ট্রোলড হয়েও যে খারাপ লাগে না। যে কাজের জন্য সম্মান ও ভালোবাসা পাওয়া যায়, ট্রোল সেই ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ছোট একটি মূল্য ছাড়া আর কিছুই নয়। আলিয়া ইন্ডাস্ট্রি ও দর্শকদের উপহার দিয়েছেন ‘গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি’-র মতো ফিল্ম। তাঁর মতে, শেষ হাসি তিনিই হেসেছেন।
আলিয়া স্পষ্ট বললেন, তাঁকে যদি পছন্দ না হয়, তাহলে তাঁর ফিল্ম নাও দেখতে পারেন দর্শকরা। এই ক্ষেত্রে তাঁর কিছুই করণীয় নেই। কারণ তিনি মানুষের বাকস্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে পারবেন না। তবে তিনি নিজের ফিল্মের মাধ্যমে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করায় বিশ্বাসী। আলিয়ার মতে, এই ধরনের বিতর্ক তৈরি করার কোনো কারণ নেই। নিজের জন্মকে কোনো মানুষ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। আলিয়া যদি তারকার ঘরে জন্ম নিয়ে থাকেন তাহলে তা তাঁর হাতে ছিল না। মা হতে চলেছেন আলিয়া নিজেও। তাঁর মতে, আগামী দিনে যদি তাঁর সন্তান ফিল্মে আসতে চায় তাহলে তাকেও যথেষ্ট কঠিন পরিশ্রম করতে হবে এবং সহনশীল হতে হবে।
আলিয়া জানান, প্রতিটি শিল্পেই রয়েছে স্বজনপোষণ। প্রত্যেকেই নিজের স্থানে নিজের পরিবারের সদস্যদের কাজ পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারপরেও যদি সেই সদস্য নিজেকে প্রমাণ করতে না পারে তখন সে বোঝা ছাড়া আর কিছুই নয়।
View this post on Instagram