বাংলা কবিতা, গান, গল্প, ছড়া ও উপন্যাসেই ইলিশ মাছের কথা বলা আছে! শুধু প্রাচীন পল্লিগীতি ও লোকসংগীতগুলোর মধ্যে ইলিশের বর্ণনা দেওয়া আছে। মাছের রাজা ইলিশ কিন্তু আজও সবার পাতে ওঠেনা ইলিশ। কষ্ট সিদ্ধি করেও যদিও বা বাঙালী ইলিশমুখ করে কিন্তু এবছর মহামারীতে তাও সাধ্য নেই বহু নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের।
কিন্তু কচি কাঁচাদের তো খেতে ইচ্ছে করবেই। অনেকেই চেষ্টা চরিত্র করেও সমাজের যেসব বাচ্চারা অবহেলিত তাদের মুখে ইলিশ জোটা লাক্সারি। তাই এইবার জন্য টিম সোহম ও হাসিখুশি ক্লাব পালন করলো অন্য রকম ইলিশ উৎসব। নিল অভিনব উদ্যোগ। সমাজের পিছিয়ে পড়া, দুঃস্থ ও অবহেলিত বাচ্চাদের মুখেই হাসি ফোটাতে রবিবার আয়োজন করা হয়েছিল ‘অন্য ইলিশ উৎসব’। কলকাতার রবাহনগরের টবিরোডের ঘোড়ার আস্তাবলের কাছে এই উৎসব পালন করা হল। পাত পেরে মনের আনন্দে গরম ভাতের সাথে ইলিশের স্বাদ উপভোগ করল কুঁচোর দল।
ইলিশ বলতে মাথা দিয়ে কচুর শাক, ভাপা, ভাজা- এ চললো ইলিশ উৎসব। কিন্তু এই উৎসবে মূল কান্ডারি অভিনেতা সোহম নিজেই উপস্থিত থাকতে পারেননি করোনা আক্রান্তের জন্য। তিনি নিজেই হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। হাসি খুশি ক্লাবের অন্য সদস্যের পূর্ণ সহযোগিতায় এই বাচ্চাদের মুখে হাসি ফুটেছে গতকাল।