‘ইকো পার্কে’ (Eco Park) অনুষ্ঠিত বিজয়া সম্মিলনী নিয়ে একের পর এক প্রশ্নবাণ, কটু কথা ও সমালোচনার ঝড় সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। যেই সমস্ত অভিনেত্রীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পাশে দাড়িয়ে ছবি তুলেছেন, তাদের প্রত্যেকেই প্রায় সমালোচনার শিকার। বেশিরভাগ অভিনেত্রী তকমা পেয়েছেন ‘চটিচাটা’, ‘মেরুদন্ডহীন’ এর মতন কড়া শব্দের প্রতিক্রিয়া। এবারে নেট জনতার প্রশ্নবাণে ও নেগেটিভ কমেন্টে জর্জরিত গায়িকা ইমন চক্রবর্তীর (Iman Chakraborty) প্রোফাইল।
ইমন পেলেন ‘চটিচাটা’ তকমা-» বুধবার আয়োজিত হয় বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান। টলিউডের বহু তারকা এদিন আসেন এই অনুষ্ঠানে। সেরকমই আসেন গায়িকা ইমন চক্রবর্তী নিজেও। এসেছেন যখন তখন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একটা সেলফি না তুললে হয়? সেদিন মুখ্যমন্ত্রী, গায়ক রূপঙ্কর বাগচী ও পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে কিছু ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি। এর পরেই তার ছবির তলায় জড়ো হয় কিছু নেগেটিভ কমেন্ট। এই যেমন কেউ কেউ বলেন – ‘গিরগিটি’, ‘চটিচাটা’, ‘চাকরি চোর’ ইত্যাদি ইত্যাদি।
ইমনের সঙ্গে এই একই তকমা পেয়েছিলেন অপরাজিতা আঢ্য ও স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। যদিও, স্বস্তিকা জবাব দিয়ে বলেন যে তিনি শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীকে সন্মান জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী হলেও একই কাজ করতেন। কিন্তু, ইমন কী জবাব দিলেন?
ইমনের জবাব
উল্লেখ্য, একটা সময় ইমন ছিলেন এসএফআই-এর দাপুটে ছাত্রনেতা। সেই ইমনকে কিছু মাস ধরে তৃণমূলের গা ঘেঁষা হতে দেখা গিয়েছে, এছাড়া যেই রূপঙ্কর তাকে ইন্সিকিউর্ড বলে লজ্জিত করেন সেই রূপঙ্কর বাগচীর পাশে দাড়িয়ে হেসে ছবি পোস্ট করতে মানুষ ইমনের ব্যাক্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে। যাইহোক, দেখে নিই, ইমন অপমানের জবাব কীভাবে দিলেন।
ইমন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, “একটা জিনিস দেখে খুব অবাক হচ্ছি, যে কিছু মানুষ খারাপ বলতেই জানেন। সোজা হাঁটলে বলবে বাঁকা যান আর বাঁকা গেলে তো কথাই নেই। ভালো-মন্দ, গান-বাজনা, রাজনীতি,খেলাধুলো, চাঁদে কী হচ্ছে, সমুদ্রের নীচে কী হচ্ছে, শাড়ি কেন পরলেন না, বরের সঙ্গে কেন ছবি দিলেন…… পাঁঠার মাসং কেন খেলেন? প্রাণী হত্যা মহাপাপ… আরও কতকিছু! কেন?” এর সাথে তিনি এও লেখেন, “যারা এগুলো বলেন তাঁরা কী সব মেনে নিয়ে জীবন কাটাতে পারতেন? আমি বলছি পারতেন না। প্রত্যেকটা মানুষের নিজের বাঁচার স্বাধীনতা আছে। ঘৃণা ছড়াতে চাইলে ছড়ান কিন্তু তার দায় আপনার, আমাদের নয়। বিশ্বাস করুন, দিনের পর দিন এসব নিতে নিতে ঘরে অন্ধকারে আর বসে না থেকে আলোয় ভালোয় বাঁচতে শিখে গেছি। ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন আর পারলে একটু যোগ-ব্যায়াম করে নিন।”