Hoop Life

Teeth Care Tips: রোজ ব্রাশ করাই যথেষ্ট নয়, দাঁত ভালো রাখতে মানুন কিছু টোটকা

স্বাস্থ্যকর দাঁত এবং মাড়ি হলে সহজেই কিছু খেতে পারবেন। নানা কারণে বেশ কিছু সমস্যা হলে দাঁত মাড়ি খারাপ হয়ে যেতে পারে। আপনার বয়স বাড়ার সাথে সাথে আপনার দাঁত এবং মাড়িকে ভালো যত্নে রাখা উচিত। দাঁত একটি শক্ত, বাইরের আবরণে আবৃত থাকে যাকে বলা হয় এনামেল। প্রতিদিন, আপনার দাঁতে ডেন্টাল প্লাক হয়ে যায়। এর মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া অ্যাসিড তৈরি করে, যা এনামেলের ক্ষতি করতে পারে এবং দাঁতে গর্ত সৃষ্টি করতে পারে। আপনি দাঁত ব্রাশ করলে এবং ফ্লস করলে ক্ষয় রোধ করতে পারেন, তবে একবার গর্ত তৈরি হলে, আরও ক্ষতি যাতে না হয় তখন একজন ডেন্টিস্টকে অবশ্যই ফিলিং করিয়ে নিন। তাই আর দেরি না করে আমাদের Hoophaap এর পাতায় চটজলদি দেখে ফেলুন, দাঁত কেন খারাপ হয়, দাঁত এবং মাড়ির কিভাবে যত্ন নেবেন –

মাড়ির রোগ-
মাড়ির রোগ আরও খারাপ। যাকে বলা হয় পিরিয়ডোনটাইটিস। অবশ্যই একজন দাঁতের ডাক্তার দেখানো উচিত। যদি ডাক্তার না দেখানো হয়, তবে এই সংক্রমণের কারণে ঘা, মাড়ি থেকে রক্তপাত, ব্যাথা হতে পারে। চিবোনোর সমস্যা এবং এমনকি দাঁত ক্ষয় হতে পারে।

মাড়ির রোগ থেকে মুক্তি পেতে-

১) টুথপেস্ট দিয়ে দিনে দুবার দাঁত ব্রাশ করুন।

২) নিয়মিত ফ্লস করুন।

৩) দাঁত পরিষ্কারের জন্য নিয়মিতভাবে ডেন্টিস্টের কাছে যান। আপনার যে কোনো চিকিৎসা অবস্থা এবং আপনি যে ওষুধ খান সে সম্পর্কে ডেন্টিস্টকে বলুন

৪) সুষম খাবার খেতে হবে। প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি হেলদি খাবার খান। চকলেট জাতীয়, আইসক্রিম জাতীয় খাবার বেশি খাবেন না।

৫) ধূমপান ত্যাগ করুন । ধূমপান মাড়ির রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

কীভাবে আপনার দাঁত এবং মাড়ি পরিষ্কার করবেন-

১) আপনার দাঁত ব্রাশ এবং ফ্লস করার একটি সঠিক উপায় আছে।

২) একটি নরম-ব্রিস্টল ব্রাশ এবং টুথপেস্ট দিয়ে আস্তে আস্তে আপনার দাঁত চারদিকে ব্রাশ করুন। প্রতি তিন থেকে চার মাস অন্তর আপনার টুথব্রাশ পরিবর্তন করুন।

৩) ব্রাশ শক্ত করে চেপে ধরে দাঁতের ওপরে গোল গোল করে অর্থাৎ বৃত্তাকারভাবে দাঁত ব্রাশ করতে হবে।

৪) মুখের একদম ভেতর পর্যন্ত ব্রাশ নিয়ে যেতে হবে।

৫) শুধুমাত্র দাঁতের মাড়ি পরিষ্কার করলেই হবে না, জিভকেও খুব সুন্দর করে পরিষ্কার করতে হবে।

৬) সরষের তেল, কাঁচা হলুদ আর নুন দিয়ে খুব ভালো করে দাঁত মাজতে পারেন। এর মধ্যে আর এমন প্রাকৃতিক উপাদান থাকে, যা দাঁত ভালো শক্তপোক্ত রাখতে সাহায্য করে।

৭) প্রতিবার খাওয়ার পরেই মুখ ভালো করে কুলকুচি করে জল ফেলে দিতে হবে, যাতে কোনোভাবেই দাঁতে খাবার আটকে না থাকে।

সতর্কীকরণ– উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।

Related Articles