আজকের সমাজেও মেয়েরা অবহেলিত, আক্ষেপের সুর রানীমা’র গলায়
রানী রাসমনির জীবনে চলছে ঝড়, সমাজের লোক তাকে এবং তার পরিবারের সব সদস্যদের এক ঘরে করে দিতে চাইছেন। কারণ শুধুমাত্র তার ‘নাতবউ’। কিছুদিন আগে রাসমণির বড় নাতবউ তথা নাতি মহেন্দ্রচন্দ্র দাসের স্ত্রীকে এক জমিদার অপহরণ করেছিলেন। তাকে রানী মা ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে আসে, কিন্তু তারপর থেকেই নাতবৌকে প্রশ্ন করতে শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা ও ব্রাহ্মণরা। অপহরণের সময়ে তার সঙ্গে কি হয়েছে? বাড়ির মেয়েরা জানতে চেয়েছে তার কাছ থেকে তিনি কতখানি অত্যাচারিত হয়েছেন?
এক সংবাদমাধ্যম দিতিপ্রিয়া রায়কে সরাসরি জিজ্ঞেস করলেন কে অপহরণ করেছিল তাকে এবং তিনি কি ধর্ষিতা? দিতিপ্রিয়া তথা ‘রাণীমা’ জবাব দেন, তাকে ধর্ষণ করা হয়নি, এক জমিদার তাকে অপহরণ করে আটক করে রেখেছিলেন। অনেক কষ্টে তাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বাড়িতে। এখন তিনি সমাজের চোখে কলঙ্কিনী। তাই তার পরিবারসহ রানিমাকে এক ঘরে করে দিতে চাইছেন ব্রাহ্মসমাজ। এছাড়া ধোপা-নাপিত বন্ধ করে সমাজচ্যুত করা হবে পরিবার সহ রানি মাকে ও তার বাড়িতে কোনো ব্রাহ্মণ আসবেন না।
এছাড়া রাসমণিকে এটাও ব্রাহ্মণরা বলেছেন যে, রানীমা যদি তার নাতবউকে ত্যাগ করেন তাহলে শাস্তি মুকুব করা হবে। সকালের মধ্যেই তাকে সিদ্ধান্ত নিতে। এরপর রাণীমা কি করবে সেই নিয়ে চিন্তিত দর্শক। এই ধারাবাহিকের পরিচালক গল্পের মোড় কিভাবে ঘোরাবে প্রতীক্ষা করছেন দর্শক।
এছাড়া, দিতিপ্রিয়াকে এক সংবাদমাধ্যম জিজ্ঞাসা করেছে, এই চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে কি মনে হচ্ছে অষ্টাদশ শতকের সমাজের থেকে বর্তমানের সমাজে কি পরিবর্তন ঘটেছে? ক্ষোভ ঝরলো গলায় দিতিপ্রিয়া বলেছেন, “হল কই! অভিনয় করতে করতে মনে হচ্ছিল, যেখানে ছিলাম যেন সেখানেই দাঁড়িয়ে আছি। আজও মেয়েদের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটলে সব দায় তাদের উপরেই চাপিয়ে দেওয়া হয়”।