এই গ্রামের বেশিরভাগ সুন্দরী মেয়েই কুমারী, পাত্রের অভাবে হচ্ছে না বিয়ে
এটি এমন একটি গ্রাম যেখানে শুধু সুন্দরী রমণীদের বসবাস। যেখানে নেই কোনো পুরুষ। আর তাই পাত্রের অভাবে বিয়েও হচ্ছে না সেসব নারীদের। কিছুদিন যাবত সেসব নারীরা পাত্রের সন্ধানে পুরুষদের আগমন জানাচ্ছেন তাদের গ্রামে।
দুই পাহাড়ের মাঝখানে অবস্থিত একটি গ্রাম। নাম তার নোওয়া ডে করডেরিয়ো। জায়গাটি যতটা সুন্দর এই গ্রামের মেয়েগুলো ততটাই সুন্দর। এখানে বসবাসকারী যুবতীরা এই প্রথমবার নিজের যোগ্য সঙ্গীর খোঁজ শুরু করেছেন। তবে শর্ত হলো বিয়ের পর বরকেও যে তার সঙ্গে থাকতে হবে। আপাতত ৬০০ জনের মধ্যে ৩০০ জন নারী যোগ্য পুরুষদের বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। গ্রামে থাকতে দেয়ার শর্তে যে পুরুষ রাজি হবে, তাদের সঙ্গে বিয়ে করবেন তারা।
কারণ তারা গ্রামের বাইরে বিয়ে করবেন না। আবার সেই গ্রামে নেই কোনো পুরুষ। তাই যেসব পুরুষরা তাদের সঙ্গে ওই গ্রামে বসবাস করবে সুন্দরীরা তাদেরকেই বর বানাবে। এমনই শর্ত সেই গ্রামের মেয়ে। বলছি, দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিলের নোওয়া ডে করডেরিয়ো গ্রামের কথা। এই গ্রামের বাসিন্দা ৬০০ এরও বেশি নারী। মাত্র কয়েক জন নারী বিবাহিত। তারাও কখনো গ্রাম ছাড়েননি। সপ্তাহ শেষে মাত্র দুই দিনের জন্য তাদের স্বামী গ্রামে আসেন। ব্রাজিলের এই গ্রামের নারীরা বিয়ের জন্য উন্মুখ হলেও পাত্রের সংকটে তা সম্ভব হয় না। গ্রামটিতে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী নারীর সংখ্যাই বেশি।
যাদের মধ্যে ৫০ শতাংশেরও বেশি কুমারী নারী রয়েছে। এই গ্রামের নারীদের বিয়ের জন্য অবিবাহিত ছেলের সন্ধান পাওয়া একগাদা খড়ের মধ্যে সুঁচ খোঁজা মতোই কঠিন কাজ। এখানকার মেয়েরা যতই চেষ্টা করুক না কেন বিয়ের জন্য তারা অবিবাহিত ছেলে খুঁজে পায় না। তাই এই সুন্দরী মেয়েগুলো বাধ্য হয়ে বিবাহিত ছেলের সঙ্গেই বিয়ে করে নেয়। তা না হলে যে এই সুন্দরী মেয়েদেরকে সারাজীবন কুমারীই থাকতে হবে। এই গ্রামের বয়স প্রায় ১২৮ বছরের মতো তার পরেও বাহিরের কোনো গ্রামের সঙ্গে এই গ্রামের সম্পর্ক নেই । এই গ্রামের প্রায় বেশিরভাগ মেয়ের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছর।
এই গ্রামের নারীরা ছেলেদের উপর কোনোভাবেই নির্ভরশীল না। সেখানকার নারীদেরকে আত্মনির্ভরশীল করে তুলেছেন মারিয়া সেলেনা ডেলিমা। ১৮৯০ সালে এক মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেয়া হয়। এরপরই শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে তিনি চলে আসেন দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিলের নোইভা ডো করডেরিয়ো গ্রামটিতে। মারিয়া সেনহোরিনা ডে লিমা নামের সেই মেয়েটি ১৮৯১ সালে এই গ্রামের গোড়াপত্তন করেন।