লকডাউনে এই প্রথম সবচেয়ে বেশি বিক্রি হলো পার্লে-জি
লক ডাউনের জেরে যখন মন্দা দেখা দিয়েছে বেশ কিছু ব্যবসায় যেমন অনলাইন ক্যাব পরিষেবা থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যম সংস্থা, বিমান সংস্থা, আইটি সেক্টর, সেখানে রীতিমতো রেকর্ড গড়ে লাভ করেছে পার্লে-জি (Parle-G)। প্রথম পথ চলা শুরু হয় ১৯৩৮ সালে। সংস্থা বলছে, গত তিন মাসের ব্যবধানে যে আয় হয়েছে তা গত ৮২ বছরে হয়নি। এই রেকর্ড গড়ার পিছনে কারণ কি? এই প্রশ্নের উত্তরে পার্লে কোম্পানির বিভাগীয় প্রধান ময়ঙ্ক শাহ জানান, “লক ডাউনের ফলে মানুষের মধ্যে খাবার জুগিয়ে রাখার প্রবণতা দেখা দেয়। এরপর তাঁরা যা পেয়েছে তাই কিনে রেখেছে খিদে মেটাবার জন্য। এটি সাধারণ মানুষের বিস্কুট। এছাড়া বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও এই বিস্কুট বিপুল পরিমাণে কিনেছে। যার ফলে সংস্থা এমন রেকর্ড অঙ্কে ব্যবসা করেছে”।
ঠিক কত অঙ্কে ব্যবসা করেছে এই সংস্থা? এই প্রশ্নের উত্তর তাঁরা জানাননি। তবে সংস্থা জানিয়েছে, গত এপ্রিল, মে মাসে কোম্পানি যে হারে ব্যবসা করেছে তা তাঁরা গত আট দশকে দেখেনি। সবথেকে কম দামের মধ্যে তৃপ্তি আনে এই সুস্বাদু বিস্কুট । চরম অর্থকষ্টেও মানুষের ঝোলায় খিদে মেটাবার জন্য যেনো সোনার পাথর বাটির মতনই ছিল এই বিস্কুট। অর্থাৎ লক ডাউনে বেশ কিছু কোম্পানির ব্যবসায় যখন বেহাল অবস্থা, কাটছাঁট চলছে কর্মীদের বেতনে বা কেউ খুইয়েছেন চাকরি তখন ব্যতিক্রম রয়েছে একটি কোম্পানি, সেটি হল পার্লে। রীতিমতো রেকর্ড গড়েছে লক ডাউনে। যেনো লক ডাউনই তাঁদের কাছে ‘আশীর্বাদ’ স্বরূপ।
পার্লে প্রোডাক্টের বিভাগীয় প্রধান ময়ঙ্ক শাহ জানান, ” আমাদের কোম্পানির শেয়ার সব প্রোডাক্ট মিলিয়ে আমরা ৫ শতাংশ বাড়িয়েছি। আর তার মধ্যে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ বিক্রি হয়েছে পার্লে-জি বিস্কুটের”। জানা গিয়েছে, লক ডাউন চললেও বিস্কুট তৈরিতে ঘাটতি রাখেনি সংস্থা। দেশ জুড়ে ১৩০ টি কারখানার মধ্যে ১২০টি কারখানাই সচল ছিল যার ফলে বিস্কুটের চাহিদা মত জোগান দিয়ে লক ডাউনের মধ্যেও রীতিমতো রেকর্ড গড়ল পার্লে।