Zika Virus: মহারাষ্ট্রে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, জিকা ভাইরাস ঠেকাতে কড়া সতর্কতা বাংলায়
আতঙ্কের নাম জিকা ভাইরাস (Zica Virus)। মহারাষ্ট্রে নতুন করে ভীতি ছড়াচ্ছে এই ভাইরাস।পুনেতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জিকার সংক্রমণ। গত ৪৮ ঘন্টায় নতুন করে পাঁচ জনের শরীরে ধরা পড়েছে জিকার অস্তিত্ব। মহারাষ্ট্রে মোট ভাইরাস আক্রান্তদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ জন। অন্তঃসত্ত্বা মহিলারাও আক্রান্ত হচ্ছেন এই ভাইরাসে। প্রতিবেশী রাজ্য কর্ণাটকেও দুজন জিকা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যেই একজনের মৃত্যুও হয়েছে।
কীভাবে শণাক্ত করবেন জিকা সংক্রমণ
মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই মর্মে সব রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে। পশ্চিমবঙ্গেও এসেছে গাইডলাইন। এই নির্দেশিকায় গর্ভবতীদের সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। কীভাবে জিকা সংক্রমণ শণাক্ত করা যাবে? নির্দেশিকা অনুযায়ী, জিকা সংক্রমণ হয়েছে কিনা তা জানতে রক্ত এবং মূত্রের নমুনা পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গর্ভবতী মহিলা সংক্রমিত হলে তাঁর চিকিৎসার পাশাপাশি গর্ভস্থ ভ্রূণের উপরেও নজর রাখতে হবে। কারণ ভ্রূণে সংক্রমণ ছড়ালে স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। গাইডলাইনে বলা হয়েছে, প্রতিটি হাসপাতালে একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে হবে যাঁর মূল কাজ হবে হাসপাতাল চত্বরকে এডিস মশা থেকে মুক্ত রাখতে। পাশাপাশি গর্ভবতীদের জিকা স্ক্রিনিং করানো হবে।
কীভাবে ছড়ায় জিকা ভাইরাস
মূলত এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায় এই ভাইরাস। এছাড়াও রক্ত সঞ্চালন এবং যৌন সংসর্গের মাধ্যমেও ছড়ায় জিকা। উপসর্গের উপরে নির্ভর করে হয় জিকার চিকিৎসা। এর কোনো নির্দিষ্ট প্রতিকার নেই। বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রতি পাঁচ জন জিকা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে একজনের জ্বর, মাথা ব্যথা, গাঁটে ব্যথা, ত্বকে ব়্যাশ, চোখ লাল হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। তাই জিকার উপসর্গ না থাকলেও গর্ভবতী মায়েদের রক্ত বা মূত্রের আরটিপিসিআর পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলায় জারি কড়া সতর্কতা
২০১৬ সালে প্রথম গুজরাটে জিকার প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। তারপর থেকে দিল্লি, কেরল, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলিতে বিভিন্ন সময়ে এই ভাইরাসের প্রকোপ দেখা গিয়েছে। এখনো পর্যন্ত বাংলায় জিকা আক্রান্তের খবর না পাওয়া গেলেও সতর্কতায় কোনো খামতি রাখতে নারাজ জনস্বাস্থ্য বিভাগ।