Hoop Story

লকডাউনে বাড়ির ছাদেই সবজির চাষ করে বাগান বানিয়ে ফেলেছেন এই পরিশ্রমী মহিলা

মুথু নাগাপ্পাম নামে এক গৃহবধূ তার ছাদেই একটি আস্ত সবজির বাগান করে ফেলেছেন। তার সকাল হয় ছাদের প্রতিটা গাছে জল দিতে দিতে, শুধু তাই নয় সে দিনের প্রয়োজনীয় সবজিও সকালে উঠে তিনি বাগান থেকে তুলে নিতে পারেন। তার সবজির মধ্যে রয়েছে, বেগুন, পালং শাক ইত্যাদি। আরেকবার সন্ধ্যেবেলা তিনি ছাদটা ঘুরে আসেন। সেখানে তিনি নানান রকম জৈব সার দেন। গাছের পাতা নেড়েচেড়ে গাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। আর এসব কিছুই তিনি করে ফেলেছেন লকডাউন এর সময়। সত্যিই তাকে ধন্যবাদ জানাতে হয়।

তার এই প্রচেষ্টার জন্য তার পুরো পরিবার এখন খাঁটি সবজির স্বাদ পাচ্ছেন। বাজারের থলি হাতে সকালবেলা বেরোনোর কোন প্রয়োজনই হয় না। ছাদে গিয়ে একবার ঢুঁ মেরে এলেই জোগাড় হয়ে যায় সমস্ত কাঁচা সবজির। পুরো পরিবারের জন্য প্রায় ৯০ শতাংশ কাঁচা বাজারের চাহিদা মিটিয়ে দেয় তার ছাদ বাগান। গাছগুলিকে যত্ন করার জন্য তিনি কোনরকম কৃত্রিম সার বা কীটনাশক ব্যবহার করেন না।

মুথু বিয়ের পরে চেন্নাই থেকে তিরুচিতে চলে আসেন। তিনি তার বাবার বাড়িকে মাঝে মাঝেই মনে করেন। সেখানেও এত সুন্দর বাগান ছিল। তবে প্রথমবার তার চেষ্টায় কিন্তু তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। মুথু তার এই স্বপ্ন পূরণের জন্য সাহায্য পেয়েছিলেন গঙ্গা অর্গানিক ফার্ম নামে এক সংস্থা থেকে। তারা মুথুর মত মানুষদের অর্থাৎ যাদের ছাদ বাগান করার শখ আছে তাদেরকে প্রয়োজনীয় উপাদান, বীজ ইত্যাদি দিয়ে সাহায্য করেন বাগান তৈরি করতে। ১০০ স্কয়ার ফুট এলাকাতে তিনি ২০টি প্লাস্টিকের ব্যাগ এর মধ্যে তিনি প্রথম শুরু করে। এই ব্যাগগুলি অনেকটা হালকা হয় এবং অনেকক্ষণ অব্দি ময়েশ্চার ধরে রাখতে পারে।

ছাদের মাটি তৈরি করার জন্য তিনি ব্যবহার করেন বাগানের মাটি তার সঙ্গে কোকো পিট এবং তার সঙ্গে ভার্মি কম্পোস্ট। মুথু সার হিসেবে ব্যবহার করেন তার রান্নাঘর থেকে ফেলে দেওয়া জিনিস। মুথু তার বাগান পালং শাক, বেদানা, পেয়ারা, পেঁপে, লঙ্কা ইত্যাদি চাষ করেন। শুধু তাই নয় বাগানের মধ্যে থাকা ফুল, অনেক প্রজাপতি এবং পাখিদের আকর্ষণ করে। তাই তাদের আনাগোনাও থাকে। সব মিলিয়ে মুথুর এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাতে হয়।

Related Articles