লকডাউনে হারিয়েছেন চাকরি, সংসার চালাতে কলা বিক্রি করছেন স্কুল শিক্ষক
করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে দীর্ঘদিন ধরে লকডাউন পালিত হয়। যার জন্য দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল সরকারি অফিস থেকে শুরু করে বহু কোম্পানি এবং বেসরকারি স্কুল। যার ফলে কর্মীদের বেতন দিতে না পারায় কর্মী ছাঁটাই এর পথ বেছে নিয়েছে কোম্পানি এবং বিভিন্ন সংস্থাগুলি। এর কবলে পড়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোরের একটি কর্পোরেট স্কুলের শিক্ষক ছিলেন পাট্টেম ভেঙ্কট সুব্বাইয়া। চাকরি খুঁইয়ে কলা বিক্রির পথ বেছে নিয়েছেন এই শিক্ষক। এই খবর এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এই স্কুলের কতৃপক্ষ গত এপ্রিল মাসে শিক্ষক সহ বাকি কর্মীদের পঞ্চাশ শতাংশ বেতন কেটে নেয়।
এছাড়া শিক্ষকদের পরিস্কার জানিয়ে দেওয়া হয় যদি এই সময়ে স্কুলে ৬-৭ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তি করাতে না পারে তাদের স্কুল থেকে বহিস্কার করা হবে। সুব্বাইয়া একাধিক সার্টিফিকেট এর ঝুড়ি নিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সাহিত্যের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ওই কর্পোরেট স্কুলে। কিন্তু তিনি এই করোনা মহামারীর সময় স্কুলে পড়ুয়া ভর্তি করাতে না পারায় স্কুল থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়। সংসারিক চাপ এবং সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা ঋণ এর বোঝা মাথায় নিয়ে শেষমেশ কলা ব্যাবসার পথে নেমে আসেন।
তবে শিক্ষকের এই অভাব জানার পর দুঃসময়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বহু প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী। এই ছাত্রছাত্রীরা এরমধ্যেই একটি তহবিল গড়ে ৮৬ হাজার ৩০০ টাকা তুলে ফেলেছে তার সাহায্যের জন্য। সুব্বাইয়ার কথায়, “প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা যখন আমার এই বিপদের কথা শুনে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, তখন জীবনে নিশ্চয় কিছু ভাল কাজ করতে পেরেছি আমি।”