whatsapp channel

হবে চরম ক্ষয়ক্ষতি, দুই দফায় বন্যা হওয়ার ইঙ্গিত দিল আবহাওয়া দপ্তর

এবার বর্ষার শুরুতেই ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টি আগামী অক্টোবর পর্যন্ত থেমে থেমে চলবে। তবে এই মুহূর্তে আরও তিন থেকে চার দিন টানা বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে…

Avatar

HoopHaap Digital Media

Updated on:

এবার বর্ষার শুরুতেই ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টি আগামী অক্টোবর পর্যন্ত থেমে থেমে চলবে। তবে এই মুহূর্তে আরও তিন থেকে চার দিন টানা বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বর্ষার শুরু থেকে এবার বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। বাকি সময়জুড়ে থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে বাংলাদেশের উজানে ভারতের আসাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়েও ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এসব রাজ্যে নিয়মিত ৫০ থেকে ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হচ্ছে। দেশের ভেতরে ও উজানের বৃষ্টি মিলেমিশে দেশের অন্তত দুইটি নদী অববাহিকায় চলতি মাসের শেষের দিকে বন্যা শুরু হতে পারে। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের দিকে হতে পারে আরেকটি বন্যা।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এবার বর্ষার আগেই বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বর্ষাতেও বৃষ্টি এবার বেশি হতে পারে। তাই জুনের শেষের দিকে এক দফা ও আগস্ট-সেপ্টেম্বরের মধ্যে আরেক দফা বন্যা হতে পারে। আর এবার বৃষ্টি বেশি হলে স্বাভাবিকভাবে বন্যার বিস্তৃতিও বেশি হতে পারে।’ বাংলাদেশের আবহাওয়া অনুযায়ী, সাধারণত জুনের প্রথম সপ্তাহে মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশে প্রবেশ করে। আর এটি বিদায় নিতে নিতে অক্টোবর পর্যন্ত লেগে যায়। এবারের বর্ষা শুরু হওয়ার আগে থেকেই দেশের নদ-নদীগুলোর জল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ছিল। কারণ বর্ষার আগের মাসে অর্থাৎ মে ও জুনের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে স্বাভাবিকের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে মৌসুমি বায়ুর কারণে দেশের উপকূলে দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। ওই বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। ফলে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে উপকূলের কাছে সাবধানে ও নিরাপদ থাকতে বলা হয়েছে। বন্যা বিশেষজ্ঞদের হিসেবে, দেশে সাধারণত মে মাসের শুরুতে হাওরে একটি হঠাৎ ঢল থেকে বন্যা হয়। এরপর জুলাইয়ের মাঝামাঝি আরেক দফা বন্যা হয়। ওই বন্যাটি শুরু হয় মূলত ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকায় কুড়িগ্রাম-রংপুর-জামালপুর দিয়ে সিরাজগঞ্জ থেকে মানিকগঞ্জ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে।

আরেকটি অববাহিকা তিস্তা পারের জেলা লালমনিরহাট দিয়ে শুরু হয়ে রংপুর দিয়ে বন্যা হয়। এ ছাড়া সিলেট বিভাগ এবং চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার পাহাড়ি নদীগুলো থেকে একটি বন্যা হয়। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস অনুযায়ী, জুনের শেষের দিকে কুড়িগ্রাম ও চট্টগ্রাম বিভাগ দিয়ে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা বেশি। আগস্ট-সেপ্টেম্বরের দিকে উত্তরাঞ্চল ও চট্টগ্রামের দিকে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা বেশি রয়েছে। গত বছরও ওই একই অববাহিকাগুলোয় তিন দফা বন্যা হয়েছিল।

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media