Lifestyle: শসার খোসা ফেলে দেবেন না, টিপসগুলি আপনার কাজে লাগবেই
গ্রীষ্মের দুপুরে একফালি স্বস্তি হোক কিংবা শীতের ডিনার প্লেটের স্যালাড- শসার জুড়ি মেলা ভার। মুখের স্বাদ ফেরাতেও অনবদ্য এই সব্জি। তবে শুধুমাত্র প্লেটসজ্জা বা স্বাদের কথা নয়, শসার মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু আশ্চর্য পুষ্টিগুনও। একদিকে যেমন শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখে শসা, অন্যদিকে এটি ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ হয়ে থাকে, যা চোখ ভালো রাখে। এছাড়াও হারের পুষ্টিও নিয়ন্ত্রণ করে শসা। তবে আমরা অনেকেই শসা খেয়ে তার খোসা বাইরে ফেলে দিই। কিন্তু মনে রাখবেন এই শসার খোসাও কিন্তু ফেলে দেওয়ার বোটা নয়, এটি আপনার বাড়িতে থাকা গাছের সার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু কিভাবে? দেখে নিন।
(১) শসার খোসার সার: আমরা জানি যে যেকোনো উদ্ভিদজাত বস্তুর পচনে সেটি সার হয়ে অন্য উদ্ভিদের পুষ্টি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়। শসার খোসার ক্ষেত্রেও একই বিষয় হয়। টুকরো টুকরো করে খোসা কেটে গাছের গোড়ায় ছড়িয়ে দিন। এগুলি পচে আপনার প্রিয় ফুলগাছ বা ফলের গাছকে পুষ্টি প্রদান করবে। পাশাপাশি, এর মধ্যে থাকা এলকয়েড যেমন গাছের গোড়ায় ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদের বাসা বাঁধতে দেয় না, তেমনই এটি পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ করতেও সক্ষম।
(২) শসার খোসার ছাই: শুধুমাত্র কাঁচা নয়, শসার খোসার ছাইভস্মও গাছের সার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে প্রথমে শসার খোসাগুলিকে রোদে শুকিয়ে নিন। তারপর সেগুলি পুড়িয়ে সেই ছাই জমিয়ে রাখুন। অল্প অল্প করে একমাসে একবার সেগুলিকে ছড়িয়ে দিন গাছের গোড়ায়। এতে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পাবে। ফলে গাছের বৃদ্ধিতেও কোনোরূপ সমস্যা আসবে না।
(৩) শসা খোসার জল: শসার খোসা জলে ভিজিয়ে রেখে সেই জলও সার হিসেবে ব্যাবহার করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে একটি পাত্রে জল নিয়ে তাতে শসার খোসা টুকরো করে ফেলে দিন। এভাবে দিন পাঁচেক রেখে দিন এটিকে এভাবে। পাঁচদিন পর খোসাগুলিকে ছেঁকে নিয়ে ফেলে দিন। এই জল রোজ একটু ককরে গাছের গোড়ায় দিন। এটি আপনার গাছের হরমোন ক্ষরণে সহায়ক হবে। ফলে গাছের বৃদ্ধি হবে নিরন্তর।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যভিত্তিক।