Travel: কালীপুজোয় ঘুরে আসতে পারেন এই ৪ জায়গা থেকে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হবেন
কালীপুজোর ছুটিতে পরিবারকে বা নিজের মনের মানুষের সঙ্গে ঘুরে আসতে পারেন এই চারটি জায়গা। একবার ঘুরে আসুন দেখবেন মন বলে আবারো যেতে। এত সুন্দর জায়গা যে আমাদের ভারতবর্ষে আছে তা আপনি না গেলে বিশ্বাসই করতে পারবেন না একবার গেলে মনে হবে বারবার ছুটি পেলে পরিবারকে সাথে নিয়ে ঘুরে আসতে।
যদি দুর্গাপুজোর ছুটিতে কোথাও যেতে না পারেন তাহলে অবশ্যই কালীপুজোর ছুটিটা একেবারে মিস করবেন না। কালী পুজোতে মোটামুটি তিন চার দিনের একটা ছুটি ম্যানেজ করে ঘুরে এই অসাধারণ এই জায়গা গুলোতে। বিশেষ করে যারা ইতিহাস পছন্দ করে তাদের জন্য কিন্তু এই চারটি জায়গায় ভীষণ ভালো। এছাড়া বাড়িতে যদি কোন বৃদ্ধ মানুষ থাকে তাদেরকেও নিয়ে যেতে পারেন।
১) হরিশ্চন্দ্রগড় মহারাষ্ট্র – কালীপুজোর ছুটিতে যদি পরিবার নিয়ে বেড়াতে যেতে চান তাহলে ঘুরে আসতে পারেন মহারাষ্ট্রের হরিশ্চন্দ্রগড় দুর্গ থেকে। কাছাকাছি খিরেশ্বর গ্রাম এখানে থাকার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা। তারামাটি পিক, কোনকান কাদা, ইচ্ছা করলে এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন। এখানে গেলে অবশ্যই দেখে আসবেন কেদারেশ্বর মন্দির। এই শিবলিঙ্গে গেলে আপনি অদ্ভুত একটা জিনিস দেখতে পাবেন এখানে চারটি স্তম্ভের মধ্যে তিনটি স্তম্ভ ভাঙ্গা। এখানে চারটি স্তম্ভ ৪টি যুগকে বোঝায় তিনটি স্তম্ভ ভেঙে গেছে কলি যুগের স্তম্ভটে সেটি যেদিন ভেঙে যাবে গোটা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে।
২) উদয়পুর রাজস্থান – রাজস্থানের দেখার জায়গা অনেক কিছু আছে, এখানে গেলে অবশ্যই ঘুরে আসবেন উদয়পুর থেকে। ফাতাহ সাগার লেক, সাজানগড় মনসুন প্যালেস, বাহুবলি হিল আরো অনেক কিছু। রাজস্থান এমনিতেই ইতিহাসের শহর তাই এখানে গেলে আপনি হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস কে খুঁজে পেতে পারেন। তাই অবশ্যই একবার ঘুরে আসতে পারেন অসাধারণ এই জায়গা থেকে।
৩) অযোধ্যা- প্রতি বছর দীপাবলির প্রাক্কালে অনুষ্ঠিত দীপোৎসবের দেখার জন্য অযোধ্যায় পর্যটকরা ছুটে যান। 2017 সালে শুরু হওয়ার পর থেকে এখানে দীপাবলি অনুষ্ঠানে একটি বিশ্ব রেকর্ড তৈরি হয়। কনক ভবন, রাম কথা পার্ক, অসংখ্য মন্দির এবং ঘাট দেখে নিতে পারেন আশে পাশে। 130 কিমি দূরে অবস্থিত লখনউ প্রধান বিমানবন্দর।
৪) মহেশ্বর মধ্যপ্রদেশ – নর্মদা নদীর তীরে অবস্থিত, মধ্যপ্রদেশের মহেশ্বর। এখানে গেলে দেখতে পাবেন অহিল্যা ঘাট (মূল ঘাট) বেশ মনোরম এবং শান্তিপূর্ণ জায়গা, যেখানে আপনি আক্ষরিক অর্থেই ‘সময়ের স্থবিরতা’ অনুভব করতে পারেন। মন্দির দেখার জন্য নদীর ধারে একটি সূর্যাস্ত নৌকায় চড়ে নিন। মহেশ্বর রাজওয়াড়া, সহস্ত্রধারা, দত্ত মন্দির, বানেশ্বর মন্দির।