নাম নীনা গুপ্তা, আজকের অভিনেত্রী নন। সেই ১৯৯৩ সালে খলনায়ক মুভির কথা মনে আছে, যেখানে মাধুরী নেচে ছিলেন চোলি কে পিছে কেয়া হ্যায়? ওই গানের দৃশ্যে মাধুরী ছাড়াও ছিলেন নীনা গুপ্তা। সম্প্রতি একটি আত্মজীবনী প্রকাশ করেছেন তিনি। সেই আত্মজীবনীর নাম Sach Kahun Toh।
বলিউডে পা রাখার পর কোন কোন খারাপ ও ভালো অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে তিনি গিয়েছেন তা তুলে ধরেছেন তার লেখনীতে। সম্প্রতি তার সম্পর্কে দুটি বিষয় খবরের পাতায় উঠে আসছে বারবার।
একবার এক সাউথ ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক তাকে কাজের জন্য নিজস্ব হোটেল রুমে ডেকে পাঠান। তখন নীনা গুপ্তার কাজের খুব দরকার ছিল। তিনি তার আত্মজীবনীতে লেখেন, “আমার প্রাথমিক প্রবৃত্তি আমাকে উপরের দিকে না যেতে বলেছিল। তার পরিবর্তে আমি তাকে লবিতে আসতে বলি,” যাইহোক, তিনি পরিচালককে নীচে ডাকতে পারেননি, খারাপ দেখাতে পারে বিষয়টা। তাই নিজেই উপরে যান। অনেকক্ষণ ধরে কথা হয় ফিল্ম নিয়ে, শেষে কিঞ্চিৎ বিরক্ত হয়েই নীনা জিজ্ঞেস করেন, আমার চরিত্রটা? পরিচালক বলেন, নায়িকার বান্ধবীর চরিত্রে থাকতে হবে। নীনা বোঝেন খুবই সামান্য কাজ করে ফেলতে পারবেন। তাই জানিয়ে দেন যে তিনি রাজি এবং ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে আসবেন, ঠিক তখনই ওই পরিচালক তাকে বলেন, রাতে তার সঙ্গে থাকবেন না নীনা?
View this post on Instagram
‘খলনায়ক’ মুভির ‘চোলি কে পিছে কেয়া হ্যায়’ গানের দৃশ্যের সময়েও সুভাষ ঘাই চূড়ান্ত অপমান করেন তাকে এবং প্যাডেড অন্তর্বাস পরতে বাধ্য করেন। সেদিন অপমানে খুব কেঁদে ছিলেন। যদিও লাভ হয়নি। অভিনেত্রী নীনা গুপ্তার Sach Kahun Toh শুধু বলিউড বা ফিল্মি জগতের কাস্টিং কাউচের উদাহরণ নয়। এরকম বহু উদাহরণ রয়েছে অভিনেত্রীদের আত্মজীবনীর পাতায়।