‘বান্টি অউর বাবলি’ শুধু সিনেমার পর্দায় হিট নয়। একটা সময় রিয়েল লাইফেও এই জুটির প্রেম উঠে এসেছিল। পেজ থ্রি-র পাতায় অভিষেক-রানির প্রেম নিয়ে তুমুল চর্চা হত। এই জুটির ব্যক্তিগত জীবন জানার জন্যও মুখিয়ে থাকত অনুরাগীরা। সকলের ধারণা হয়েছিল যে ফের রিপিট হবে অমিতাভ-জয়ার প্রেম কাহিনী। বাঙালি হিন্দু পরিবারের মেয়ে বলে জয়া বচ্চনও রানি মুখোপাধ্যায়কে পছন্দ করতেন।
গুঞ্জন আসে একে অপরের সঙ্গে ডেট করতে শুরু করেন রানি ও অভিষেক। সম্পর্ক এতটাই গভীর ছিল যে ‘বান্টি অউর বাবলি’, ‘যুবা’, ‘লাগা চুনরি মে দাগ’, ‘কভি আলবিদা না কহেনা’র মত বহু সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছেন এই জুটি। বিশেষ করে ‘ইউভা’ বা ‘যুবা’ ছবিতে অভিষেক-রানির রোম্যান্স সকলের নজর কাড়ে। তখন অনুরাগীরা ভেবেই বসেছিলেন বচ্চন পরিবারের বৌ রানিই হবেন।
আচমকা জয়া বচ্চন বলে বসেন যে রানিকে বৌ হিসেবে মেনে নেওয়া যাবে না। ততদিনে ঐশ্বর্য রাই অভিষেকের জীবনে চলে আসেন। এমনকি ‘লাগা চুরনি মে দাগ’ ছবির শ্যুটিং চলাকালিন রানির কানে আসে অভিষেক বিয়ে করতে চলেছেন ঐশ্বর্যকে। আপাত দৃষ্টিতে দেখলে বোঝাই যাচ্ছে যে মায়ের জন্যই সম্পর্ক থেকে বেড়িয়ে আসেন অভিষেক। এছাড়াও অভিষেক ও শ্বেতা বরাবর মা জয়ার শাসনের মধ্যেই মানুষ হয়েছেন। এই তালিকাতে স্বয়ং অমিতাভও একটা সময় থাকতেন।
কিছুদিন আগের এক সাক্ষাত্কারে রানির কাছে জানতে চাওয়া হয় তাঁর ও অভিষেকের সঙ্গে রসায়ন কেন ভেঙে গেল? কেন এক ফ্রেমে আর রানি ও অভিষেককে দেখা গেল না? এর উত্তরে রানি বলেছিলেন যে অভিষেকই নাকি এটা ভাল বলতে পারবে। ও তো আমাকে বিয়েতেও নিমন্ত্রণ করেনি। এটা একেবারেই প্রত্যেকের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কিন্তু বিয়েতে তো সকলে কাছের মানুষদেরই আমন্ত্রণ জানায়। তখনই বুঝতে পেরেছিলাম ওর জীবনে আমার জায়গাটা ঠিক কোথায়। আমি ওকে বন্ধু ভাবলেও আসলে সম্পর্কটা শুটিং ফ্লোরে কলিগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে ওর সঙ্গে কাজের ভাল মুহূর্তগুলিই আমি মনে রাখতে চাই।
সমস্ত গুঞ্জন শেষ করে ফের বড় পর্দায় কাজ করছেন অভিষেক ও রানি, তবে আলাদা আলাদা। এই রানি এখন আদিরার মা এবং অভিষেক আরাধ্যার বাবা। তাই পুরনো প্রেম পুরনো ডায়েরিতেই লক। কিন্তু বলিউডি বন্ধুত্ব রয়ে গেছে এখনও। হ্যাঁ, একদম পুরনো স্বাদকে অটুট রেখে নতুন প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে ‘বান্টি অর বাবলি ২’। পাশাপাশি অভিষেককে দেখা যাবে দিব্যা অন্নপূর্না ঘোষ পরিচালিত ‘বব বিশ্বাস ২’ তে। করোনার জন্য শ্যুটিং বন্ধ থাকলেও ময়দান, পঞ্চসায়র, পাটুলি ও বেনিয়াপুকুর- কলকাতার এই চারটি লোকেশনে চলবে শ্যুটিংয়ের কাজ।