সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ধীরে ধীরে বদলেছে ছবি তৈরির কৌশল। দর্শকদের রুচি অনুসারে বদলেছে চরিত্রের ধরণ। তাই এখন অভিনেতা বা অভিনেত্রীদের চেহারায় বয়সের ছাপ ফেলা বা মুছে দেওয়া খুব একটা কঠিন কাজ নয়। রূপশিল্পীদের হাতে এখন এক অনন্য ব্রহ্মাস্ত্র হল প্রস্থেটিক মেকআপ। আজকাল হলিউড থেকে বলিউড, দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে টলিউড- সব জায়গায় এই বিশেষ মেকআপের ব্যবহার বিস্তর। আর এবার চরিত্রের চাহিদায় এমনভাবেই নিজের বয়স দ্বিগুন করে ফেললেন বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় এক অভিনেতা।
বর্তমান প্রজন্মের ক্রাশ থেকে সোজা থুরথুরে বুড়ো- এক্কেবারে নিজের ভোল বদলে অনুরাগীদের ধরা দিলেন টলিউডের ‘ব্যোমকেশ’ আবির চট্টোপাধ্যায় (Abir Chatterjee)। আর প্রিয় অভিনেতাকে এমন সাজে দেখেই ঘুম উড়ল তার মহিলা ভক্তদের। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে এমনই একটি সেলফি পোস্ট করেছেন অভিনেতা। এই পোস্টে তাকে একদম এক বৃদ্ধের রূপ দেওয়া হয়েছে। মাথায় চুল নেই বললেই চলে, তবে যতটুকু আছে সবটুকুই রং ধবধবে সাদা। মুখের চামড়ায় বয়সের ভাঁজ স্পষ্ট। অনেকটা ভারী করা হয়েছে মুখমণ্ডল। চোখে কালো রংয়ের মোটা ফ্রেমের চশমা। পরনে সাদা পাঞ্জাবি ও ঘিয়ে হাফ জ্যাকেট। আর এই ছবি দেখেই একপ্রকার অবাক তার অনুরাগীমহল। কেউ লিখেছেন, ‘নিজের চোখকেই তো বিশ্বাস হচ্ছে না’; এক মহিলা অনুরাগী লিখেছেন, ‘বছর চল্লিশ পর আবার সিঙ্গেল থাকবেন, ট্রাই করবো’।
তবে এই রূপ পরিবর্তন যে চরিত্রের জন্যই তা স্পষ্ট হয়েছে ছবি ও তার ক্যাপশনে। কারণ এই ছবিতে আরো এক ব্যক্তিকে দেখা গেছে, যিনি মেকআপ আর্টিস্ট সোমনাথ কুন্ডু। তারা প্রত্যেকেই কাজ করছেন আসন্ন ‘মায়াকুমারী’ ছবিতে। ছবির ক্যাপশনে তাকে ক্রেডিট দিতেও ভোলেননি অভিনেতা। ক্যাপশনে আবির লিখেছেন, ‘সেই জাদুকরের সঙ্গে যিনি ‘মায়াকুমারী’ ছবিতে কানন কুমার এবং অহিরের আলাদা আলাদা লুক তৈরি করেছেন। উল্লাস সোমনাথ দা’।
৪০-এর দশকের বিখ্যাত অভিনেত্রী মায়াকুমারী ও অভিনেতা কানন কুমারের গল্প নিয়েই তৈরি হয়েছে ছবিটি। ২০২০ সালে করোনাকালের আগেই মায়াকুমারী-র আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেছিলেন পরিচালক অরিন্দম শীল। গত ১৩ ই জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। আবির চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই ছবিতে অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta), অরুণিমা ঘোষ, ইন্দ্রাশীষ রায়, ফালাক রশিদ রায়।
View this post on Instagram