প্রত্যেক বাড়ির লোকজন চায় তার ছেলে যেমনই দেখতে হোক বা স্বভাবে হোক বা অর্থ উপার্জন করুন না কেন পাত্রী হতে হবে সুন্দরী, ফর্সা, আর অর্থনৈতিক ভাবে স্ট্রং। হ্যাঁ, এটাই সমাজের আসল সত্যি। ভিতরে ভিতরে মানুষ এটাই চায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। অবশ্য এখনও সমাজে কিছু মানুষ আছেন যারা শুধু রূপ নয় তার গুণ দেখে এবং স্বভাব ও শিক্ষা দেখে। যদিও কারোর গুণ ও স্বভাব বোঝার জন্য সাময়িক সময়ের দরকার হয়। যারা এই সময়টুকু দিয়ে একটি মেয়ের বিচার করেন তাদের জীবন অনেকটা মুক্ত ও স্বাধীন হয়। কিন্তু, ওগো নিরুপমা গল্পে ব্যাপারটা অন্যরকম হয়।
আবিরের পছন্দ সুন্দরী মেয়ে। তার বউ নিরুপমা দেখতে কুৎসিত বলে তাকে যোগ্য স্ত্রীর সন্মান আবির কোনোদিন দেয়নি। কিন্তু নিরুপমা সবসময় আবিরের পাশে থেকে স্ত্রী ধর্ম পালন করে গেছে। এবার গল্পে এসেছে নতুন মোড়।
অনেকদিন ধরে দর্শকরা নিরুপমা দেখতে পাচ্ছে না পুরোনো রূপে। বরং সংযুক্তা এসেছে আবিরের জীবনে। সংযুক্তা সুন্দরী, স্মার্ট, শিক্ষিতা। কিন্তু, আবির প্রতিনিয়ত বুঝতে পারে যে সংযুক্তা সুন্দরী হলেও ভেতরটা ওর কালো। ধীরে ধীরে সংযুক্তার উপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে যায় আবির।
আবির বুঝতে পারে ওর জন্য সংযুক্তা ঠিক নয়। সংযুক্তা সুন্দরী হলেও সে ভিতরে ভিতরে বড্ড কুৎসিত। আবির বুঝতে পারে নিরুপমা কুৎসিত দেখতে হলেও ভিতরে ভিতরে সে সুন্দরী। এদিকে সংযুক্তা আবিরের থেকে চরম অপমানিত হয়ে জিতে যায়। কিন্তু, ভিতরে ভিতরে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। সংযুক্তা কি পারবে বোঝাতে যে সেই আবিরের নিরুপমা?
