বাড়িতে একটি হনুমানজির ছবি থাকলে আপনার সমস্ত সমস্যা থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন। এই হনুমানজির ছবি আপনার বাড়ির মধ্যে নেগেটিভ শক্তিকে প্রবেশ করতে দেয় না। তাই সদর দরজার উপরে যদি একটি পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি রাখতে পারেন তাহলে আপনি সমস্ত সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন।
রাম রাবণের যখন যুদ্ধ চলছিল। সেই সময় রাক্ষসরাজ রাবণ পাতাল দেবতা অহিরাবোনের সাহায্য চান। সেই অনুযায়ী, পাতাল দেবতা রাম এবং লক্ষণকে অপহরণ করে নিয়ে আসা হয়। পাতালপুরীতে এদিকে চারিদিকে খুঁজে খুঁজে যখন রাম লক্ষণ কে পাওয়া যাচ্ছে না। ঠিক তখনই নিজের শক্তি বলে জানতে পারেন দশরথের এই দুই পুত্র রয়েছেন একেবারে পাতালের ভেতরে। আর তার পরেই তিনি পাতালপুরীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন কিন্তু সেখানে গিয়ে যখন পৌঁছান দেখেন অহিরাবনের প্রাণ রয়েছে পাঁচটি প্রদীপ এর মধ্যে। এই প্রদীপ নিভে গেলেই তারাও আর বাঁচতে পারবেন না। এমনটা ভাবতে ভাবতেই হনুমানজির পাঁচটি অবতারের আবির্ভাব হতেই তিনি একসঙ্গে এই পাঁচটি প্রদীপটি নিভিয়ে দেন। যার ফলে অবশেষে মুক্তির স্বাদ পান দশরথের দুই পুত্র রাম এবং লক্ষণ।
বাড়ির সদর দরজার মুখে পঞ্চমুখী হনুমানজির যদি ছবি, ফটো, স্টিকার ইত্যাদি লাগাতে পারেন। তাহলে আপনার জীবনের দুঃখ কষ্ট অনেকটাই কমে যাবে। কারণ এই ছবির সাথে সাথে অনেক পরিমান পজিটিভ এনার্জি আপনার বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করবে।
আপনি যদি সদর দরজার ওপরে একটি পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি লাগাতে পারেন তাহলে আপনার মনের জোর অনেকাংশে বেড়ে যাবে। আর মনের জোর প্রতিদিন কাজ করার ক্ষমতাকে অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে।
আমাদের মধ্যে অনেকেরই গ্রহদোষ থাকে। যার ফলে জীবনে উন্নতি হয়না। জীবনে নানান রকম সমস্যা লেগেই থাকে। আপনি যদি আপনার ঘরের সদর দরজার ওপরে পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি লাগাতে পারেন। তাহলে আপনার ওপরে হওয়া গ্রহদোষ একেবারে কেটে যাবে।
অনেক সময় হয়ে থাকে অনেক পরিশ্রম করার পরেও অর্থনৈতিক সংকট কিছুতেই দূর হয়না। চাকরিতে প্রমোশন হয় না কিংবা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হয়না। এই সমস্ত থেকে বাঁচার জন্য সদর দরজার ওপরে একটি পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি নিয়ে আসুন দেখবেন কত তাড়াতাড়ি চাকরি ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সাফল্য এসেছে।
অনেকদিন ধরে যদি আপনার বাড়িতে কেউ রোগগ্রস্ত হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই বাড়ির সদর দরজার ওপরে একটি পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি বা মূর্তি এনে রাখুন। এতে রোগ-ব্যাধি সমস্ত পালিয়ে যাবে নিমেষের মধ্যে।
সদর দরজার উপর একটি পঞ্চমুখী হনুমানের মূর্তি নিয়ে সে যদি নিয়মিত তাকে পূজো করা হয়, তাহলে অদ্ভুত একটা পজিটিভ এনার্জি আপনি আপনার নিজের মধ্যে অনুভব করতে পারবেন। আপনাকে এবং আপনার বাড়ির সকলকে আনন্দে রাখতে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
