Reduce Cholesterol: কোলেস্টেরল কমাতে অব্যর্থ টোটকা রান্নাঘরের এই ৪ উপাদান
কোলেস্টেরল বৃদ্ধির সমস্যায় যেন একটা গোটা প্রজন্ম আক্রান্ত। সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমানে পৃথিবীর প্রতি ৫ জনের একজন এই সমস্যার শিকার। এর কারণ মূলত খাবারে ভেজাল এবং অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস। ভারতেই এই সমস্যায় ভুগছেন প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ। তবে যাদের রক্তে একবার কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়, সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নাজেহাল হয়ে যায় তাদের জীবন। ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড খাওয়া বন্ধ করলেও বাগে আসে না কোলেস্টেরলের মাত্রা। তবে কিছু ঘরোয়া উপকরণের সাহায্যে সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় কোলেস্টেরলের মাত্রা। এই উপকরণগুলি জোগাড় করতে আপনাকে দৌড়াতে হবে না কোথাও, সেগুলি মিলবে আপনার রান্নাঘরেই। কি কি সেই উপকরণ? দেখুন-
(১) জোয়ান: অনেকের খাবারের টেবিলেই জোয়ানের কৌটো থাকে। খাবার খাওয়ার পর অনেকেরই সেই খাবার হজম করতে জোয়ান খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। তবে আপনি হয়তো জানেন না এই জোয়ান আপনার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে জাদুর মতো কাজ করে। গবেষণা বলছে, জোয়ান শরীরে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে এবং খারাপ কোলেস্টেরল মাত্রা বাড়তে দেয় মা। ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ডায়েটারি ফাইবারে ভরপুর জোয়ান ঘরোয়া উপায়ে কোলেস্টেরল কমাতে যেন ধন্বন্তরী।
(২) হলুদ: কাঁচা হলুদ রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ উপযোগী। খারাপ কোলেস্টেরল ‘এলডিএল’-এর মাত্রা কমাতেও হলুদের জুড়ি মেলা ভার। হলুদে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
(৩) গোলমরিচ: শীতকালে রান্না এবং লিকার চায়ের সঙ্গে অনেকেই গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খান। তবে এটিও আপনার কোলেস্টেরল কমাতে বেশ উপকারী। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান-সমৃদ্ধ এই মশলা কোলেস্টেরলের কমানোর অন্যতম দাওয়াই হতে পারে।
(৪) দারচিনি: সাধারণত গরম মশলা হিসেবে ব্যবহৃত হয় দারচিনি। সর্দি কাশি কমাতে এবং রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতেও কাজে লাগে দারচিনি। তবে দারচিনিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। কোলেস্টেরল কমাতে দারচিনি দিয়ে তৈরি চা খেতে পারেন।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি সম্পূর্ন তথ্যভিত্তিক। কোনোরূপ শারীরিক সমস্যার ডাক্তারের পরামর্শ নিন।