আগেকার দিনে গুরুজনরা বা এখনকার দিনেও বাড়ির বড়রা বলে থাকে যে ঘি খাওয়া খুবই উপকারী। ঘি তে মেধা বাড়ে, পাশাপাশি ত্বকের জেল্লা বারে। এদিকে গরম ভাতে এক চামচ ঘী, সঙ্গে মাছ ভাজা বা আলু ভাজা হলে কোনো কথা নয়, একটু কাচা লঙ্কা চটকে নিলে স্বাদ বেড়ে দ্বিগুণ। অথচ,এই ঘি কিন্তু সকলের জন্য নয়। ঘি কারা খেতে পারবেন আর কারা পারবেন না তাই নিয়েই আলোচনা করা হচ্ছে পরবর্তী ধাপে।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রেখা রাধামণি (Rekha Radhamony) ঘি খাওয়ায় কিছু বিষয় নিয়ে সতর্ক করেছেন সোশ্যাল মিডিয়া মারফৎ। Cholunage ছোট্ট করে জেনে নিই কারা ঘি খেতে পারবেন।
১) বাচ্চার বয়স দেড় বছর হয়ে গেল ওকে অল্প করে ঘি দেওয়া যেতে পারে ভাত বা খিচুড়ির সঙ্গে।
২) যে কোনো বয়সী মানুষ সারা দিনে ছোট এক চামচ ঘি খেতে পারেন।
৩) নিরামিষ রান্নায় ঘি দিলে স্বাদ বাড়ে, তাই রান্নায় ঘি দিলে আর পাতে ঘি দেবেন না।
ঘি কারা খেতে পারবেন না, রইলো লিস্ট। সম্প্রতি,আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ রেখা রাধমণি বলেছেন –
১)ঘি প্রচণ্ডই ‘গুরু’ পদ। অর্থাৎ ভারী খাবার। যাঁদের পেটের সমস্যা আছে, তাদের জন্য ঘি একেবারেই নয়, তবুও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বিশেষত, IBS-D-র মতো অসুখ থাকলে ঘি এড়িয়ে চলাই ভালো।
২) অন্তঃসত্বা অবস্থায় ঘি খেলেও যাদের ওজন বেশি তাদের ঘি খাওয়া উচিত নয়। বিশেষত ব্লাড প্রেসার হাই থাকলে ঘি এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
৩) মরশুম বদলের সময় ঘি নয়, এতে করে বুকে কফ জমে।
৪) লিভারের অসুখ থাকলে ঘি নয়। এতে করে পেটের সমস্যা বাড়বে।
View this post on Instagram