Nusrat Jahan: মমতা মুখ্যমন্ত্রী না থাকলে নুসরত কি সুবিধা পেতেন! প্রশ্ন তুললেন ভরত কল
একটা সময় ইন্ডাস্ট্রিতে ক্যাসানোভা বলে ডাকা হতো অভিনেতা ভরত কলকে। নব্বইয়ের দশক থেকে অভিনয় জীবন শুরু করেন। এখন বাংলা ধারাবাহিকে তিনি পরিচিত মুখ। সম্প্রতি, একটি ধারাবাহিকের দৌলতে ধুতি, পাঞ্জাবি, উত্তরীয়তে পাক্কা বাঙালিবাবু! সেজেছেন তিনি।
‘রিস্তো কা মাঞ্ঝা’ ধারাবাহিকে অভিনেতা ক্রুশল আহুজার বাবার চরিত্রে অভিনয় করছেন ভরত কল। বাংলা ধারাবাহিক ‘দীপ জ্বেলে যাই’-এর হিন্দি রিমেকে কাজ করছেন ভরত। তার উপস্থিতি দর্শক মনে বেশ সাড়া জাগিয়েছে। আট বছর মুম্বইয়ে কাজ করা মানুষ এই প্রথম কলকাতায় তৈরি হওয়া হিন্দি ধারাবাহিকে কাজ করছেন।
এই সেটে বসেই একটি সংবাদমাধ্যমে ইন্টারভিউ দেন অভিনেতা ভরত কল। অভিনয় জগৎ ছাড়াও রাজনীতি প্রসঙ্গে কথা ওঠে। এবং নিজের রাজনৈতিক জীবনের প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, “আমার দাদু-বাবা আজীবন কংগ্রেস করতেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস থেকে সরে আসার পর ওই দলের আর কোনও ভবিষ্যৎ নেই। দিদির জন্যই আমি সক্রিয় ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে। যাঁরা আমার রাজনৈতিক জীবন নিয়ে অকারণে খোঁচাচ্ছেন তাঁদের কাছে প্রশ্ন, বাম-কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের জোটে তৈরি ‘সমুক্ত মোর্চা’ কি মুখ্যমন্ত্রীর মতো উদার হত? আইএসএফ প্রধান আব্বাস সিদ্দিকি তাঁর ভাষণে নুসরত জাহানের উদ্দেশে কটূক্তি করে বলেছিলেন, ‘মুসলিম হয়ে ছবিতে অভিনয় করছেন। ওঁকে বেঁধে মারা উচিত!’ ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী বদল হলে নুসরত এবং তাঁর মতো বাকিরা এই স্বাধীনতা পেতেন?”
অবশ্য, ভরত কল নুসরত প্রসঙ্গে পরিস্কার করে এও বলেন, “নুসরত কার সঙ্গে মিশবেন, থাকবেন, কার সন্তান ধারণ করবেন, সন্তানের পিতৃপরিচয় দেবেন কি দেবেন না– সম্পূর্ণ ওঁর ব্যাপার। কেন আমি ওঁর ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক গলাতে যাব?”