GossipHoop Plus

রাজেশ খান্নার অভিনয় নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেন নাসিরুদ্দিন, এর পরিণামও হয়েছিল ভয়ঙ্কর

নাসিরুদ্দিন শাহ্, একজন প্রবীণ ও অভিজ্ঞ অভিনেতা। এখনও তাকে বিশেষ কিছু সিনেমায় দেখা যায় বহাল তবিয়তে। বি টাউনে তিনি বেশ জনপ্রিয় একজন মানুষ। প্রবীণ হলেও তার দাপুটে অভিনয় আজও বহু মানুষের নজর কাড়ে। ঠিক এরকমই একজন প্রবীণ ও জনপ্রিয় অভিনেতা যদি বেফাঁস কোন মন্তব্য করেন তখন গল্পটা কোন দিকে গড়ায়? হ্যাঁ নাসিরুদ্দিন শাহ্ একবার রাজেশ খান্নার অভিনয় দক্ষতা নিয়ে মন্তব্য করেন।

কী সেই মন্তব্য? তার দাবি, রাজেশের নাকি অভিনয়ে নমনীয়তার অভাব ছিল। সমস্ত রকমের অভিনয় তিনি পারতেন না এবং তাঁর ছবিগুলির মধ্যেও বৈচিত্র কম ছিল। প্রসঙ্গত, রাজেশ খান্নাকে বলিউডের প্রথম সুপারস্টার নামে আখ্যায়িত করা হত একটা সময়। ১৯৬৯ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সময়কালে টানা ১৫টি কমার্শিয়াল ফিল্মে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন। তার সফল সিনেমার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য নাম হল আরাধনা, আনন্দ, কাটি পতঙ্গ, সফর, সাচা ঝুটা, রাজা রাণী, বাওয়ারর্চি, অমর প্রেম প্রমূখ। ১৯৭০-৭৯ সময়কালের মধ্যে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি।

এমন একজন অভিনেতা সম্পর্কে এমন উক্তি কেউই মেনে নিতে পারেননি। রাজেশ খান্নার অনুরাগীরা পাল্টা ট্যুইট করে নাসিরুদ্দিন শাহ্‌কে এক হাত নেন। নাসিরুদ্দিনকে আক্রমণ করে টুইট করেন টুইঙ্কল খন্নাও। এক জন মৃত ব্যক্তিকে সম্মান না দেওয়াটাই মাঝারি মানের মানসিকতার পরিচয়, টুইটে এটাই ছিল তাঁর বক্তব্য।

এত কিছুর পর নাসিরুদ্দিন শাহ্ ক্ষমা চেয়ে নেন এবং বলেন রাজেশ খন্নার অভিনয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি বা তুলতে চাননি তিনি কিন্তু সাতের দশকে ইন্ডাস্ট্রির কার্যকলাপকে মাঝারি মানের বলতে চেয়েছিলেন। তাঁর কথার ভুল ব্যাখ্যাও হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

রাজেশ খান্না গত হন ১৮ জুলাই, ২০১২ সালে। কিডনী জনিত সমস্যায় বহুদিন ধরে ভুগছিলেন তিনি। বহুবার হাসপাতালে ভর্তি হন। শেষে, মুম্বইয়ে অবস্থিত বাংলো আশীর্বাদে কিডনী সমস্যাজনিত কারণে দেহত্যাগ করেন তিনি।

Related Articles