কখনো কি কেউ আগে করেছেন এমন কাজ! সাংবাদিক হোক বা ফটোগ্রাফার বা পাপারাজ্জি এদের কাজই হল রোদ-ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কাজ করা। বিশেষ করে মুম্বাইয়ের পাপারাজ্জিরা সর্বক্ষণ সেলিব্রিটিদের গেটের সামনে অপেক্ষা করেন। তারা কখন আসছেন, যাচ্ছেন বা কোন পোশাক পরছেন সবটাই ক্যামেরাবন্দী করেন এনারা। অনেক সময় সেলিব্রিটিরা এদের সঙ্গে খারাপ ব্যাবহার করেন, কেউ কেউ সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেন, কেউ আবার হাত জোড় করে নমস্কার করে চলে যান। কিন্তু, সোনু সুদ একদমই উল্টো কাজ করলেন।
গত বছর থেকে সোনু সুদ যেভাবে দেশ সেবায় উঠে পরে লেগেছেন তাতে করে তিনি সত্যি বলিউডের লজ্জা এবং ভারতের গর্ব। বলিউডে বহু তারকা মালদ্বীপ গিয়ে বোল্ড ফটোশ্যুট করিয়েছেন, কেউ দেশের বাইরে পালিয়েছেন করোনার দাপটে, কিন্তু এই মানুষটি দিনের পর দিন অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কখনো পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ির ফেরার বন্দোবস্ত করেছেন, কখনো অসহায় ছেলে মেয়েদের শিক্ষার ভার নিয়েছেন, তো কখনো বিনা দ্বিধায় অর্থ সাহায্য করেছেন। বহু মানুষের অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন এই বলিউড অভিনেতা সোনু সুদ।
এখানেই সোনুর অবদান শেষ নয়। দেশে যখন অক্সিজেনের আকাল, তখন তিনি ও তার টিম সুদূর ফ্রান্স থেকে অক্সিজেন প্ল্যান্ট নিয়ে আসছেন। সোনু সুদের প্রকাশ করা বিবৃতি থেকে জানা গিয়েছে, শুরুতে অন্তত ৪টি প্ল্যান্ট আনা হবে। মহারাষ্ট্র এবং দিল্লির মতো সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলিতে বসানো হবে এই প্ল্যান্ট।
এবারে একেবারে ঘরের সামনের মানুষদের দিকে তাকালেন সোনু সুদ। পাপারাজ্জিরা সোনুর বাড়ির বাইরে সর্বক্ষণ অতন্দ্র প্রহরীর মতন দাড়িয়ে থাকে তার গতিবিধি লক্ষ্য করার জন্য। এই ঝাঁঝালো গরমে তারা এক চুল নরে না। চলে গেলেই যদি কোনো ছবি বা ক্লু মিস হয়ে যায়। সোনু এবার এইসমস্ত পাপারাজ্জিদের জন্যেও ছোট্ট পরিকল্পনা করলেন। সকলকে কাচের গ্লাস করে ঠান্ডা সরবত পান করলেন তিনি নিজের হাতে। একজনকেও বাদ দেননি তিনি। পাপারাজ্জিরা আগে মনে হয়না এরকম কোনো ট্রিটমেন্ট সেলিব্রিটিদের থেকে পেয়েছেন। তারাও খুশি, সোনু নিজেও খুশি।