বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত! বিতর্কিত মন্তব্যে জল্পনা তুঙ্গে
অবশেষে পিছু হঠলেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ডেকে পাঠিয়েছিলেন তাঁকে। উদ্ধবের সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার পরই নিজের মন্তব্যে সঞ্জয় বলেন– এখন এই মামলার ইতি হয়েছে। আমি সব ভুলে গেছি। আপাতত নিজের কাজকর্মের দিকে নজর দিতে চাই বলে জানান তিনি।
এরই মাঝে রাজনৈতিক দলকে ছায়া সঙ্গী হিসেবে পাওয়ায় অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত কে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। পরবর্তীতে হয়তো এই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছেন অভিনেত্রী এমন গুজব মাতিয়ে রেখেছে সোশ্যাল মিডিয়া। যদিও কঙ্গনার তরফ এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি।
সপ্তাহখানেক ধরে চলা সঞ্জয় রাউৎ বনাম কঙ্গনা রানাউত দ্বন্দ্ব থেকে এমন আকস্মিক ভাবে সঞ্জয়ের সরে আসার পিছনে শিবসেনার বর্তমান ব্যাকফুট অবস্থা দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে কঙ্গনার অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় শিবসেনার পাশে দাঁড়ায় নি জোট শরিক রাকাম্পা। বরং জাতীয়তাবাদী কংগ্রেসের প্রধান শরদ পাওয়ার বিষয়টিকে এত গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয় বলে শিবসেনাকেই বিঁধেছেন। এরপরই তড়িঘড়ি ‘মাতোক্ষী’তে সঞ্জয় রাউৎকে ডেকে পাঠিয়ে কঙ্গনার বিষয়ে ইতি টানার নির্দেশ দেওয়া হয়।
কঙ্গনার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে সঞ্জয় একেবারে এড়িয়ে গিয়ে বলেন বিষয়টি শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন তিনি সামাজিক কাজকর্মে নিযুক্ত হতে চান। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের কারণস্বরূপ তিনি জানান, পার্টি সংক্রান্ত কাজকর্মের জন্যই তিনি উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সঞ্জয় রাউৎ কিংবা শিবসেনা যাই বলুক, কঙ্গনা ও শিবসেনার মধ্যে এই সংঘর্ষে সাধারণ মানুষ যে ভাবে কঙ্গনার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, তাতে পায়ের তলার জমি আলগা হওয়ার সম্ভাবনার কথা ভেবেই রণে ভঙ্গ দিল শিবসেনা।