খলনায়িকার মানবিক রূপ, ভুয়ো ফোন নম্বর নিয়ে সতর্ক করলেন ‘মোহর’-এর শ্রেষ্ঠা

Avatar

HoopHaap Digital Media

একেই বলে ঘোর কলি। প্রকৃতির তাণ্ডব দমায় কে? কার সাধ্য আছে এর সঙ্গে মোকাবিলা করার? হ্যাঁ, করোনার থাবা এখন প্রতিটা ঘরে ঘরে। সাধারণ মানুষ থেকে রাজনীতিবিদ বা বিনোদন ক্ষেত্র, বাদ যাচ্ছেন না কেউই। এখনও পর্যন্ত বহু সাধারণ মানুষ ও সেলিব্রিটি করোনায় আক্রান্ত। সম্প্রতি জানা গেছে, রানী রাসমণি ধারাবাহিকের ‘রানীমা’ দিতিপ্রিয়া রায় এবং পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আপাতত চিকিৎসাধীন রয়েছেন অনামিকা সাহা, করোনার জন্য স্বাদ গন্ধ উবে গেছে অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তীর। নিভৃতবাসে রয়েছেন শুভশ্রী, জিৎ প্রমুখ শিল্পীরা।

টলিউড থেকে বলিউড এবং সাউথ ইন্ডাস্ট্রি, বাদ যাননি কেউই। বর্তমানে করোনা একটি ত্রাস। ৩ লক্ষের উপর মানুষ এখন আক্রান্ত। এর থেকেও বীভৎস হয়ে উঠেছে অক্সিজেনের অভাব। কেন্দ্রীয় সরকার বিদেশ থেকে অক্সিজেন আনছে, ভ্যাকসিন পৌঁছে দিয়েছে প্রতিটি রাজ্যে। মানুষ এখন বিভ্রান্ত, ভীত এবং উদ্ভ্রান্ত।

এরই মধ্যে কিছু মানুষ এবং সেলিব্রিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফোন নম্বর শেয়ার করেছেন। এই নম্বর গুলির পাশে অক্সিজেন এর ঠিকানা বা হসপিটালের নাম এবং বেড সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া আছে। একজনের শেয়ার করা পোস্ট অন্যজন শেয়ার করেছেন, এভাবেই ফোন নম্বর গুলি ঘুরছে। কিন্তু সব নম্বর কি ভেরিফাইড? বা বৈধ? এই প্রশ্ন রেখেছেন বাংলা ধারাবাহিকের জনপ্রিয় খলনায়িকা মধুরিমা বসাক, যাকে প্রতিদিন মোহর এবং শ্রীময়ী তে দেখা যায় শ্রেষ্ঠা ও কিয়া চরিত্রে। মধুরিমার কথায়, “অনেকে মনে করছেন আমি শুধু ইনফেরমেশন পাস করছি বা এর, ওর পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার করছি। আমি কিন্তু কাজ করছি। সকাল ১০টায় কল ছিল। রাত ১১টা পর্যন্ত কাজ চলবে। এর মাঝে যে ব্রেক পাচ্ছি, তখন কল করে নম্বর ভেরিফাই করার চেষ্টা করছি। আপনাদের বুঝতে হবে, প্রত্যেকটা মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে কিছু না কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ভেরিফায়েড ইনফরমেশন হতে হবে। সকলের কাছে এখন ফোন করে নম্বর চেক করার সময় নেই। ভেরিফায়েড নম্বর শেয়ার করুন। আমরা যদি বেঁচে থাকি, ক্রিটিসাইজ করার জন্য পরে অনেক সময় পাব বিশ্বাস করুন। পাশে থাকুন।”

নতুন করে আর বলতে হবে না যে বর্তমানে আতঙ্কের নাম কোবিড-১৯ ভাইরাস। এই রোগকে বিশ্ব মহামারি বলে চিহ্নিত করেছে হু।তবে শুধু এই করোনাই নয় এর আগেও বহু মহামারীর মুখোমুখি হয়েছে সমগ্র বিশ্ব। তবে আসল রহস্যটা হল প্রত্যেক শতাব্দীর ২০তেই ফিরে এসেছে মহামারী। ১৭২০ সালে প্লেগ, ১৮২০ সালে কলেরা,১৮১৭ সালে শুরু হলেও ১৮২০ সালে  এটি অতি মহামারি আকার ধারণ করে।১৯২০ সালে স্প্যানিস ফ্লু, এবং ২০২০ করোনা ভাইরাস- প্রতি বছরের ২০ সাল যেন অভিশপ্ত হয়ে উঠছে। চীন থেকে উৎপত্তি শুরু হয়ে ক্রমে ক্রমে সারা বিশ্বে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই মারণরোগ। রাজনীতি থেকে বিনোদন, এমনকি, খেলার জগৎও করোনার তাণ্ডব ভীত।

Avatar

Leave a Comment