৪০ পার, ৪৩ এ এসেও একই ভাবে রাজত্ব করছেন বলিউডের রানি। বিয়ের ফুল দিয়ে জীবন শুরু করেছিলেন, এখনও সেই বিয়ের ফুল অটুট তার জীবনে। বাংলা দিয়ে শুরু করলেও ইচ্ছে ছিল বলিউডের রানি হয়ে ওঠার। এরপরেই বলিউডে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি ‘রাজা কি আয়েগি বারাত’ ছবি দিয়ে।
হ্যাঁ, তার জীবনেও রাজা আসে, আর এসেই বিয়ের ফুল ফুটিয়ে দিয়ে যান। ২০১৪ সালের এক গোপন অনুষ্ঠানে বিয়ে হয় রানি মুখোপাধ্যায়ের। যশরাজ প্রোডাকশনসের কর্ণধার আদিত্য চোপড়াকে বিয়ে করেন রানি। মাত্র ১২ জন নিমন্ত্রিতদের নিয়ে ইতালীতে বিয়ে করেন এই জুটি। বিয়ের ছবি সেভাবে প্রকাশ্যে আনতে দেননি এই তারকা জুটি। এমনকি রানির সোশ্যাল মিডিয়ায় আদিত্যর সঙ্গে তেমন কোনো ছবি নেই।
অন্যান্য তারকা দম্পতি যতটা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকটিভ , এই জুটি একদমই উল্টো। প্রেম, বিয়ে দুইই গোপনে রাখতে পছন্দ করেন রানি ও আদিত্য। একবার এক সাক্ষাৎকারে রানি মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন , ‘মুঝসে দোস্তি কারোগি’ ছবির সেটে প্রথম দেখা হয় তাদের একে অপরের সঙ্গে। তারপর বন্ধুত্ব আর প্রেম।
রানির বিয়ে নিয়ে একটা সময় গুঞ্জন ওঠে যে আদিত্যর সংসার ভাঙ্গার পিছনে রানি দ্বায়ী। কিন্তু রানি বলেছিলেন আদিত্যর ডিভোর্সের পরেই রানি ডেট করতেন। এছাড়াও রানি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন প্রযোজকের সঙ্গে বিয়ে করা তার ধাঁচে নেই।
২০১৪ তে বিয়ের দুবছর পর তাদের জীবনে আসে আদিরা। না একরত্তি কন্যাকেও সামনে আনেননি তারা। ক্যামেরার থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করেন এই জুটি। তাই মেয়েকেও ক্যামেরার আড়ালে রেখেই মানুষ করছেন।
কেন ক্যামেরা থেকে দূরে থাকেন আদিত্য এবং রানি? এই ব্যাপারে রানি এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে তাঁরা দুজনেই খুব প্রাইভেট পার্সন। আর সেটাই ছিল মনের মিল হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ। ওই সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে ইন্ডাস্ট্রিতে এত বছর কাটানোর পরে, খুব কম মানুষকেই তিনি পেয়েছেন যাঁদের শ্রদ্ধা করা যায়। আদিত্য চোপড়া তেমনই একজন মানুষ।