ছোট্ট করে ঋ বলা হলেও, আসল নাম ঋতুপর্ণা সেন (Rituparna Sen)। এখন তাকে ছোট পর্দায় অহরহ দেখা যায়। ধারাবাহিক ‘বাংলা মিডিয়াম’ থেকে শুরু করে ‘মুকুট’, ‘ত্রিনয়নী’তে তাকে দেখা গিয়েছে। একটা সময় বড় পর্দায় কাজ করেছিলেন এই ঋ। অনেকেই হয়তো জানেন যে সাহসী দৃশ্যে কাজ করে ঋ একটা সময় ব্যাপক জনপ্রিয় হন। আজকের দিনে ওয়েব সিরিজে যেই সাহসী দৃশ্য দেখার জন্য মানুষ অপেক্ষা করে থাকে, একটা সময় এই সব সিরিজের থেকেই চরম ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করে মাত দিয়েছিলেন এই ঋ (Rii Sen)।
‘কসমিক সেক্স’ বা ‘গান্ডু’ দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে চরিত্রের প্রয়োজনে তিনি কতটা সাহসী হয়ে উঠতে পারেন। যদিও সেসব সিনেমা বড় পর্দায় ফলাও হয়ে মুক্তি পায়নি, কারণ দুটো সিনেমা ছিল বিতর্কিত ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। সেহেতু, বড় পর্দায় ঋ কাজ করলেও সেভাবে সকলের ঘরে ঘরে পৌঁছতে পারেননি। ইদানিং ধারাবাহিকের যেতে ঋ অনেকটা পরিচিত।
কিছুদিন আগে ‘দিদি নং ওয়ান’ শোতে এসেছিলেন ঋ। রচনা দিদি যেমন সবার পেটের খবর টেনে বার করেন তেমনই ঋ’কে পেয়ে হাড়ির খবর টেনে বার করতে চায়। অভিনেত্রী ঋ দিদিকে সাফ জানান যে তিনি খুব নিয়ম মেনে জীবন চালান। সকালে এখনও কাঁচা হলুদ খান। তবে মা মারা যাওয়ার পর থেকে মাথাটা খারাপ হয়। যদিও এটা হাসির সঙ্গেই জানিয়েছিলেন ঋ। এমনকি এও বলেন যে রাতে তিনি ফোন ছাড়াই শুতে যান। যেটা আজকাল প্রায় সকলেই করেন, সেই বদভ্যাস থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পেরেছেন।
View this post on Instagram
এখানেই গল্প শেষ করেননি অভিনেত্রী। রচনাকে এও বলেন যে তার বন্ধুরা যখন তখন চলে আসে। এটা বেশ মজার যেমন তেমনই সাজার। কিছু বন্ধু তো এসে আর যেতেই যায় না। তিনি একা থাকেন বলে, অনেকেই ধরে নেন তিনি ফাঁকা রয়েছেন। ফলে যখন তখন তাঁর বাড়িতে সকাল সকাল কেউ চলে আসেন, কেউ আবার রাতে। হাসতে হাসতে ঋ বলেন, ”আমি তো চাইছি না ডিনার করতে…। তাও…।” শুনে হেসে লুটোপুটি খান রচনা বন্দোপাধ্যায়।