Hoop PlusReality show

Sonalee Chaudhuri: স্বামীর বদলে কাকে বেশি সময় দেন অভিনেত্রী সোনালী!

স্মার্টফোনটি কিন্তু দাম্পত্য জীবনেও খুব একটা সুবিধাজনক নয়। স্বামী একটু রোম্যান্টিক হয়ে স্ত্রী-এর পাশে গল্প করতে বসল কিন্তু স্ত্রীর নজর ওই রঙচঙে ছোট্ট পর্দাটায়। খুব অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়ায় বিষয়টা। ধারাবাহিকের জনপ্রিয় মুখ সোনালী চৌধুরীর স্বামী রজত ঘোষ দস্তিদারেরও কিন্তু একই মত। তাঁর ভাষায়, “বিয়ের প্রায় দু-তিন মাস পর থেকে সোনালীকে যখন নতুন করে জানলাম মনে আমার একটু দুঃখ হলো। বিয়ের পর আমি বুঝলাম বিয়েটা আমাকে করলেও ও অন্য কাউকে ভালোবাসে। সেই ভালোবাসাটা হলো ওই ফোন খানা। আমার দাম্পত্য জীবনের প্রতিদ্বন্দ্বী ওই বস্তুটা।”

‘দিদি নং ১’- সপ্তম সিজনে  দম্পতি স্পেশ্যাল এপিসোডে অন্যান্যদের সাথে উপস্থিত ছিলেন সোনালী ও রজত। রচনা ব্যানার্জীর সামনেই খুনসুটিতে মেতে উঠলেন দুজনেই। “ আমার চোখে তো সোনালীর থেকে সুন্দরী কেউই নেই। কিন্তু আমার প্রতি তো ওর ভালোবাসাই নেই। সব ভালোবাসা ভাগ হয়ে যাচ্ছে ওই ফোনের সাথেই। আমার সাথে যতক্ষণ না বেশি কথা বলে তার থেকে ১০ গুণ বেশি নজর থাকে ফোনের স্ক্রিনে। রেস্টুরেন্টে খেতে গেলেও হাজারো অ্যাপে ভরা ফোনটাই ওর সঙ্গী।” সোনালীও কিন্তু চুপ চাপ দাঁড়িয়ে না থেকে জবাব দিয়েছেন যথাযথই।

“তোমাদের ধারণা আমরা অভিনয় জগতের মানুষেরা সেটে থাকা কালীন শুধু যতটুকু অভিনয় করি ওইটুকুই আমাদের কাজ কিন্তু এর বাইরেও যে আমাদের একটা ফোন ঘাটার ইচ্ছা থাকে সেটা তোমরা বুঝতে পারো না। আসলে তোমাদেরই কোনো কাজ নেই। অফিসে গিয়ে সারাক্ষণ ফোনটাই ঘাঁট।” সোজাসাপ্টা জবাব সোনালীর। মঞ্চ জুড়ে হাসির রোল উঠেছিল ওঁদের খুনসুটির মাঝে পড়ে। আসলে সোনালীর স্বামী একজন ফুটবলার আর সোনালী তো অভিনেত্রী। সম্পূর্ণ দুই আলাদা পেশার মানুষ হয়েও দুজনে যদি দুজনের পেশাকে বোঝে বা সম্মান করে তাহলে সেই সম্পর্ক আর পাঁচটা সম্পর্কের থেকে আরও বেশি টেকসই হয় বলে মনে করেন রজত সোনালী।

দম্পতির বিয়ে হয়েছে প্রায় তিন বছর হলো। তাঁদের মতে, “আমরা এখনও পর্যন্ত স্বামী স্ত্রী হয়ে উঠতে পারিনি। বন্ধুই থেকে গেছি ঠিক আগের মতো। ফাইভ স্টার হোটেলের একটি ইভেন্টে দেখা হয়েছিল আমাদের।” রজত জানালেন, প্রথমদিন দেখেই সোনালীর কথা বলার ধাঁচটা বেশ পছন্দ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। ঠিক তাঁর তিন দিন পরেও আবারও একটা ইভেন্টে দেখা হলো দুজনের। শুরু হলো আলাপ। এক মাসের মধ্যেই খেলার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিলেন বিদেশে। তাই রজত মনে করেন, ফোনের যে অ্যাপ গুলোকে তিনি নিজের শত্রু ভাবেন। তারা না থাকলে হয়ত প্রেমই হতোনা।

Related Articles