Birla Investment: টাটার বিতর্কিত অধ্যায় শেষ, বাংলায় ই-ভেহিকেল ব্যবসায় বড়সড় বিনিয়োগ বিড়লার
পশ্চিমবঙ্গ থেকে টাটা ফিরে গেছে, সেই টাটা যার ফিরে যাওয়া নিয়ে অদ্ভুত রকমের জলঘোলা হয়েছিল, তার সাক্ষী আমরা প্রত্যেকেই। ন্যানো কারখানা পশ্চিমবঙ্গের বুকে তৈরি হয়নি কিন্তু রাজ্যে শিল্প তৈরি করে তোলার জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে সরকার, তাই এবার আর টাটা নয়, বাংলায় বিড়লা গোষ্ঠী বিনিয়োগ করতে চলেছে।
নবান্ন সূত্রে কি জানানো হয়েছে?
সম্প্রতি নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, যে হাওড়ার ডোমজুড়ে বিপুল বিনিয়োগ হবে আর এই বিনিয়োগ করতে চলেছে বিড়লা গোষ্ঠী ই ভেহিকেল বাইক নির্মাণকারী সংস্থা রাফট কসমিক ইভি। এখানে বিড়লা প্রায় ১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ করতে পারে বলে জানা যাচ্ছে, বিনিয়োগ করতে ইতিমধ্যেই ডোমজুড়ে প্রায় ৮ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর থেকেই কারখানার উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে। জানা যাচ্ছে, এখানে প্রায় ২০০ জনের মতন কর্মসংস্থান হতে পারে। ইতিমধ্যেই শেয়ার বিনিয়োগ করে কারখানা গড়ে তোলার ফান্ড যোগাড় করতে শুরু করে দিয়েছে বাণিজ্যিক এই সংস্থা।
ইতিমধ্যে কোথায় কোথায় কারখানা চলছে বিড়লা গোষ্ঠীর?
ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের দুটি জায়গাতে কারখানা চলছে বিড়লার, সেখানে এ বছরের ৭০০টি করে এই ভেইকেল বা বিদ্যুতিক বাইক তৈরি করা হয়। তাই সংস্থাটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে ওই দুই কারখানায় ষাট শতাংশ বিদেশি প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হবে। বাংলার ডোমজুড়ে কারখানা হলে সেখানে পুরোটাই ভারতীয় প্রযুক্তিতে জিনিসপত্র উৎপাদন করা হবে। এই কারখানায় ২৫০০ বৈদ্যুতিন স্কুটার ও বাইক তৈরি হওয়ার কথা আছে। তবে পরবর্তীকালে বাংলা থেকে বের হতে পারে বৈদ্যুতিন চার চাকা।
বাংলায় এই উৎপাদন কেন্দ্র তৈরির লক্ষ্য কি?
উত্তর-পূর্ব ভারত ও বাংলাদেশের বাজার দখল করাই এর মূল করুন। পাশাপাশি আগামীদিনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতেও রফতানি করা হতে পারে এই বৈদ্যুতিন গাড়িগুলি। আর এমনটাই যদি হয়, বাংলার শিল্পের দিক থেকে গোটা ভারতের মানচিত্রে নিজের জায়গা করে নিতে পারবে এমনটা বলাই বাহুল্য।