Arunita Kanjilal: ইন্ডিয়ান আইডলের পর প্রথম বাংলা সিনেমায় প্লেব্যাক অরুণিতার
বাঙালি জাতিকে শ্রেয়া ঘোষালের পর এবার সম্মানের চরম শিখরে তুলে দিয়েছেন অরুণিতা কাঞ্জিলাল। পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁর মেয়ে তিনি। ২০২১ সালের ইন্ডিয়ান আইডলে ফার্স্ট রানার আপ হয়ে গায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্টার মঞ্চে মেলে ধরেন তিনি। মাত্র ১৮ বছর বয়সে লন্ডনে (ইউকে) ওয়েম্বলি এসএসই এরিনায় পারফর্ম করার সাথে সাথে অক্টোবর-নভেম্বরে ‘ম্যাগনিফিসেন্ট ফোর ইউকে’ সফর ও ডিসেম্বরে ‘ম্যাগনিফিসেন্ট ফোর কানাডা’ সফরেরও অংশ ওঠেন অরুণিতা। ইন্ডিয়ান আইডলের পর প্রথম বাংলা প্লেব্যাক গাইতে চলেছেন এবার।
অরুণিতার মাত্র ৪ বছর থেকেই গানের সাথে বন্ধুত্ব। মা-ই ছিলেন তাঁর গানের গুরু সাথে মামা-র থেকেও গানের শিক্ষা পান। ২০১৩ সালে মাত্র ১০ বছরের অরুণিতা যখন ‘সারেগামাপা বাংলা’র ট্রফি জিতে নিয়ে বাড়ি ফেরেন তখনই বোঝা গেছিল যে কুমুদিনী গার্লস হাই স্কুলে পড়াশোনা করা ওই সাধারণ বাঙালি মেয়েটি উন্নতির শিখরে উঠবেই। ‘সারেগামাপা বাংলা’ জিতে নিয়ে তাঁর মিউজিক্যাল জার্নি শুরু হয়েও গিয়েছিল ‘অপরিচিত’ নামে একটি বাংলা ছবির প্লেব্যাক গেয়ে ফেলার মাধ্যমে। যেটা কম্পোজ করেন স্ময়ং কুমার শানু।
দুর্ভাগ্যবশত ২০১৪ সালের জি টিভি পরিচালিত ‘সারেগামাপা লিটল চ্যাম্পস’-এ ফাইনালিস্টও হয়েও কোনো স্থান গ্রহণ করতে পারেননি বাংলার গায়িকা অরুণিতা। সে যাই হোক, ভাগ্য তো আর সর্বদা সহায় হয় না। আবার যুদ্ধে নামেন তিনি। চলে আসেন ‘সোনি’র ইন্ডিয়ান আইডল পর্ব ১২-এর মঞ্চে। যে প্ল্যাটফর্ম নিয়ে সবাই স্বপ্ন দেখেন, সেখানেই তিনি সেরার সেরা গায়িকা হয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে নেন। ভাগ্য সদয় হয় অরুণিতার।
এরপরই শুরু হয়ে যায় তাঁর সুরের যাত্রা। বাপি লাহিড়ীর জন্য তিনি গান রেকর্ড করার সুযোগ পেয়ে যান। সাথে স্ময়ং হিমেশ রেশমিয়ার সাথেও কাজ শুরু করেন তাঁর সুরেলি মিঠি আওয়াজ দিয়ে। ‘তেরি উম্মিদ, তেরে বাগ্যার’-এর মত গানগুলি অরুনিতার-ই গাওয়া। এবার তিনি সুযোগ পেয়েছিলেন ১৫ই জানুয়ারি ইন্ডিয়ান আইডলের পরে ‘হার্টবিট’ ছবিতে প্রথম বাংলা প্লেব্যাক গাওয়ার, কিন্তু অসুস্থতার কারণে গেয়ে উঠতে পারেননি। নিশ্চয় শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠে আবার শুরু করবেন তাঁর সুরের জার্নি। অপেক্ষায় রয়েছে বাংলা তথা ভারতের সর্বস্তরের গানপ্রিয় মানুষ।