Shankar Chakraborty: স্ত্রীর মৃত্যুর পর প্রথমবার মুখ খুললেন শংকর চক্রবর্তী
‘বরিশালের বর আর কলকাতার কনে’; কথাটা হয়তো বেশ মিলে যেত তাদের সাথেই। ডাকনামেও ছিল মিল- তনু আর রুনু। কিন্তু নিমেষে সবটা হারিয়ে গেল সময়ের দোলাচলে। স্ত্রী সোনালি চক্রবর্তীকে (Sonali Chakroborty) হারিয়ে কার্যত ভেঙে পড়েছেন অভিনেতা শংকর চক্রবর্তী (Shankar Chakraborty)। ঘরের এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে নানান স্মৃতি। সেই স্মৃতি আঁকড়ে এখন স্মৃতিমেদুর শংকর চক্রবর্তী(Shankar Chakraborty)। কিভাবে জুটি বেঁধেছিলেন তারা? কিভাবেই বা ‘কলকাতার কনের’ সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন ‘বরিশালের বর’?
স্মৃতিচারণায় শংকর বাবু (Shankar Chakraborty) জানান, রবীন্দ্রভারতীতেই সোনালি চক্রবর্তীর (Sonali Chakroborty) সঙ্গে সঙ্গে প্রথম আলাপ হয় তার। সেবার ছিল ১২৫ তম রবীন্দ্রজয়ন্তী। সেখান থেকেই প্রেমের শুরু। স্মৃতি হাঁতড়ে শংকর বাবু (Shankar Chakraborty) জানান, “একদিন এক সিনিয়র ডেকে বলল, ‘সোনালী, তোর প্রেমে পড়েছে’। আমি বললাম, যাত্তসব ফালতু কথা! পরে দেখলাম, না, কথাটা সত্যি।” তবে শংকরবাবুর (Shankar Chakraborty) সংস্কৃতি জগতের থেকে ব্যক্তিগত জগৎটা ছিল অনেকটাই আলাদা। জানা যায়, সেসময় শংকর বাবুর বাড়ির অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ একটা ভালো ছিল না। খড়দার বস্তিতে ছিল একচালা ঘর। একটা সময় চায়ের দোকানেও কাজ করতেন শংকর বাবু। তারপর কারখানায় কাজে যোগদান। এদিকে অভিজাত বাড়ির মেয়ে ছিলেন সোনালি দেবী (Sonali Chakroborty)। তবে সেসব কোনোদিনই তাদের মাঝে কোনো দেওয়াল তুলে দেয়নি। বরং গভীরতা দিয়েছিল সম্পর্কে, স্মৃতিচারণায় এমনটাই জানিয়েছেন শংকর বাবু। তাই হয়তো শত বাধার মাঝেই নব্বইয়ের দশকে বিয়ে হয়েছিল তাদের।
শংকর বাবু (Shankar Chakraborty) মনে করেন সোনালি দেবী (Sonali Chakroborty) ছিলেন তার ‘লাকি চার্ম’। কারণ বিয়ের পরেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি এবং প্রথম বড় সিরিয়ালে সুযোগ পাল্টে দিয়েছিল তাদের জীবন। ‘বিবাহ অভিযান’ ধারাবাহিকে অভিনয় করলেন শংকর বাবু। দিনে দিনে বেড়েছে জনপ্রিয়তা। যুগলের নামডাকও ছড়িয়েছে গোটা বাংলার বসবার ঘরে। কিন্তু এক নিমেষে এভাবে সবটা শেষ হয়ে যাবে, তা হয়তো ভাবতে পারেননি কেউই।
তাই আজ স্মৃতিমেদুর হয়ে শংকর চক্রবর্তী (Shankar Chakraborty) জানিয়েছেন, “বাড়িটা খুব ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। এপাশ ওপাশ করছি। ঘুম নেই। বারবার ওর মুখটা মনে পড়ছে। এই ঘর। জানলা। টেবিল। দেওয়ালের ছবি। সবেতেই ও…সবেতে।” স্মৃতিতেই সকাল বিকেল কান্নায় ভেঙে পড়ছেন শংকর বাবু।