Aishi Bhattacharya: ‘দিদি নং ১’-এ মনের মানুষের কথা ফাঁস করলেন ‘শ্রীময়ী’-এর দিঠি!
‘দিদি নং 1’-এর মঞ্চে শোয়ের সঞ্চালক রচনা ব্যানার্জী (Rachana Banerjee)-র প্রশ্নবাণ সেলিব্রিটি থেকে সাধারণ মানুষ কেউই এড়াতে পারেন না। এবার রচনার প্রশ্নের মুখে পড়লেন ‘শ্রীময়ী’-র ‘দিঠি’ ওরফে ঐশী ভট্টাচার্য (Aishi Bhattacharya)। সম্প্রতি ‘দিদি নং 1’-এ এসেছিলেন তিনি। রচনা তাঁর কাছে জানতে চাইলেন মনের মানুষের কথা।
‘শ্রীময়ী’-র দৌলতে দিঠি ওরফে ঐশী ভট্টাচার্য ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ। সম্প্রতি ‘দিদি নং 1’-এর একটি বিশেষ পর্বে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। এদিন তাঁর পরনে ছিল কালো পাড় সাদা হ্যান্ডলুম শাড়ি ও কালো রঙের ফুলস্লিভ ব্লাউজ ও অক্সিডাইজড গয়না। শুরুতেই ঐশী জানালেন, নতুন বছরে অনেক ভালো ভালো চরিত্রের কাজ করার ইচ্ছা তাঁর কাছে প্রথম। এই মুহূর্তে তিনি ড্রামা নিয়ে পড়াশোনা করছেন। ভবিষ্যতে তা নিয়ে পিএইচডি করার ইচ্ছা রয়েছে ঐশীর। তবে নববর্ষে ভালো ভালো রান্না শেখার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর।
শৈশবে অভিনয় জীবন শুরু করলেও মাধ্যমিকের সময় পড়াশোনার জন্য দুই বছর বিরতি নিয়েছিলেন ঐশী। দ্বিতীয়বার আবারও কেরিয়ার শুরু করেন ‘জয়ী’ সিরিয়ালের মাধ্যমে। তবে তার আগে অভিনয়ে ফেরার সিদ্ধান্ত নিতে চাইছিলেন না ঐশী। কিন্তু ‘জয়ী’- শুটিং ফ্লোরে তিনি ঢোকার সাথে সাথেই ঘটনাচক্রে শুটিং ফ্লোরের সমস্ত লাইট জ্বলে উঠেছিল। সেই দিন পুরোপুরি অভিনেত্রী হয়ে ওঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ঐশী। তাঁর অভিনেত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর মায়ের অবদান অনেক। ঐশী যখন শিশুশিল্পী ছিলেন, তখন তাঁর মা তাঁর সাথেই শুটিং ফ্লোরে আসতেন। ‘শ্রীময়ী’-তে দিঠির চরিত্র প্রথমে নেতিবাচক ছিল। ফলে একদিন ঐশীর মায়ের অফিসে ‘শ্রীময়ী’-তে দিদির ব্যবহার দেখে তাঁর মায়ের একজন সহকর্মী বলেন, মেয়েটির ব্যবহার এত বাজে, মনে হয় এক থাপ্পড় মারা উচিত। ঐশীর মা তখন বলেন, মেয়েটি তাঁর মেয়ে। ওই সহকর্মী প্রথমে কিছুতেই এই কথা বিশ্বাস করতে চাননি।
সেদিন ঐশীর মা তাঁকে বাড়ি ফিরে বলেছিলেন, এই চরিত্রে ঐশীর অভিনয় সার্থক। তবে রচনা ঐশীকে মনের মানুষের কথা জিজ্ঞাসা করতেই ঐশী লজ্জা পেয়ে বলেন, এই কথা সকলের সামনে বলা যাবে না। কিন্তু অন্য দিক থেকে ‘জুন আন্টি’ ঊষসী চক্রবর্তী (Ushasie Chakraborty) বলে ওঠেন, তাঁকে ঘুষ দিলে তিনি এই ব্যাপারে কথা বলতে পারেন। তবে ঐশী বললেন, তাঁর বয়ফ্রেন্ড খুব নতুন নয়। এরপরেই রচনার বাউন্সার ঊষসীকে “ঊষা, তুই বরং ওর কাছ থেকেই টিপসটা নিয়ে নে!” রচনার কথা শুনে হেসে ফেলেন ঊষসী।