রগরগে টানটান প্রেমের গল্প শুনতে কার ভালো লাগে না বলুন তো? অনেকে বলবেন এহ এসব কেউ শোনে নাকি? অথচ তাঁরাও মুখরোচক প্রেম কাহিনী শুনতে ও জানতে খুব পছন্দ করেন। সেরকমই একটি কাহিনী আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। অক্ষয় কুমার কার কার প্রিয়? আপনার? উফ! কি দারুন না বলুন। এই বয়সে এসে একের পর এক ভিন্ন ধরনের সিনেমা করে মানুষের মনে ম্যাচুওর-হ্যান্ডসাম-বোল্ড অক্ষয় আলাদা জায়গা বানিয়ে নিয়েছে। আগের খিলাড়ি এখন শুধু লায়েলাপ্পা প্রেমে মশগুল থাকেন না, ররং সিরিয়াস অভিনয়ে নিজেকে টিকিয়ে রেখেছেন। কিন্তু একটু পিছনের দিকে তাকালে আপনিও দেখতে পাবেন অক্ষয়-রবীনা-শিল্পা-রেখার রগরগে প্রেমের গল্প।
কাকে ছেড়ে কাকে বলি। অক্ষয়ের যা ডিম্যান্ড সেই সময়, কি শিল্পা কি রেখা বা কি রবিনা প্রায় সবাই অক্ষয়ের মারকাটারি ফিগার দেখে আর রোম্যান্টিক ও শৃঙ্গাকার রূপ অনেককে মোহিত করে দিয়েছিল। শিল্পা শেট্টি তো একবার বলেই দিয়েছেন এক সাক্ষাৎকারে যে আমায় ব্যবহার করে ছেড়ে দিয়েছে অক্ষয়। বুঝুন তবে।
এদিকে নয়ের দশকে অভিনয় জগতে রীতিমতো দাপিয়ে বেড়িয়েছেন রবীনা ট্যান্ডন। ‘টিপ টিপ বরসা পানি’ গানে রবীনা ও অক্ষয় দু’জনেই সেটে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন সেই সময়। এছাড়াও, তু চিজ বড়ি হ্যায় মস্ত মস্ত’ শরীরী হিল্লোলে সবাইকে কাত করেছিলেন রবীনা। কিন্তু মাঝে চলে আসেন রেখা। খিলাড়িও কা খিলাড়ি ছবির শুটিংয়ের সময় রেখার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে অক্ষয়ের। উফ! সেকি দৃশ্য! গায়ে কাটা দেবে। অমন রগরগে প্রেম দেখে রবীনা ঠিক থাকতে পারেননি। রেখাকে অপমান করে রীতিমত হুমকি পর্যন্ত দিয়ে দেন। রবীনা এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান যে তাঁর সঙ্গে অক্ষয়ের সম্পর্ক আছে জানা সত্ত্বেও তাঁদের মাঝে ঢুকেছিলেন রেখা।
না না রেখা এরপর নিঃশব্দে চলে যান। সেই জায়গায় আসেন শিল্পা। একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছিলেন অক্ষয়-শিল্পা। তাতে কি শিল্পাকে ছেড়ে টুইঙ্কল খান্নাকে বিয়ে করেন অক্ষয় কুমার। এটা ঠিক তখনকার অক্ষয়ের মধ্যে যেই মাদকতা ছিল তাতে অনেক অভিনেত্রী পিছলে পড়ে গিয়েছিলেন ঠিকই, পরে তাঁরাও আবার নিজেদের জায়গা পাকাপাকি ভাবে গুছিয়ে নিয়েছেন। দিব্যি ঘর সংসার করছেন অক্ষয়-রবীনা-শিল্পা তাঁদের নিজেদের মত করে, শুধু রেখাজি এই সবের উর্দ্ধে রয়েছেন।