খুব অল্প বয়সেই মায়ের হাত ধরে বলিউডে এসেছিলেন অলকা ইয়াগনিক (Alka Yagnik)। তাঁর কন্ঠস্বর রাজ কাপুর (Raj Kapoor)-এর পছন্দ হলেও কন্ঠের পরিপক্কতার অভাবে বহুদিন ডামি আর্টিস্টের কাজ করেছেন অলকা। কিন্তু একসময় এসেছে সুযোগ নিজেকে প্রমাণ করার। মাধুরী দীক্ষিত (Madhuri Dixit) অভিনীত ফিল্ম ‘তেজাব’ ভাগ্য বদলে দিয়েছিল অলকারও। তাঁর কন্ঠে সুপারহিট হয়েছিল ‘এক দো তিন’ গানটি। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি অলকাকে। ধীরে ধীরে নামী সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে বলিউডের পায়ের তলার মাটি শক্ত করেছিলেন অলকা যা আজও বজায় রয়েছে।
একটি সাক্ষাৎকারে অলকা জানিয়েছেন, সেই সময় গান গাওয়ার নেশা তাঁকে পেয়ে বসেছিল। ক্লান্তি ছিল না তাঁর। ‘এক দো তিন’ গেয়ে অলকা পেয়েছিলেন ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড। অলকার চাহিদা সেই সময় ছিল তুঙ্গে। এক-একদিনে চার থেকে পাঁচটি গান রেকর্ড করতেন অলকা। গান গাইতে গাইতে সুরকে উপভোগ করাও শিখে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোথাও তাঁর মনে হচ্ছিল, তিনি পরিবার ও তাঁর স্বামীকে ঠিকমতো সময় দিতে পারছেন না।
View this post on Instagram
অলকার মতে, স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক রক্তের সম্পর্ক নয়। ফলে এই সম্পর্কের কক্ষেত্রে যথেষ্ট সময় দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু অলকার স্বামী নীরজ কাপুর (Neeraj Kapoor) থাকতেন শিলং-এ। তিনি সেখানকার নামী ব্যবসায়ী। অলকাকে কর্মসূত্রে মুম্বইয়ে থাকতে হয়েছিল। ফলে শারীরিক দূরত্বের সাথে সাথে বাড়ছিল মানসিক দূরত্ব। নীরজ মুম্বইয়ে ব্যবসা স্থানান্তরিত করার চেষ্টা করলে তাঁর লোকসান হয়। ফলে তিনি আবারও ফিরে যান শিলং-এ। এর ফলে অলকার জীবন হয়ে উঠেছিল রোলার কোস্টার রাইডের মতো। সময় পেলেই শিলং-এ স্বামীর কাছে চলে যেতেন অলকা।
এত বছর ধরে এইভাবে সংসার জীবন যাপন করে চলেছেন অলকা। বর্তমানে নীরজ ও অলকার একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। তাঁর অবশ্য মা-বাবার দূরত্ব নিয়ে অভিযোগ না থাকলেও ব্যক্তিগত ভাবে ডিসট্যান্স রিলেশনশিপে বিশ্বাসী নন অলকা।
View this post on Instagram