ভারত হল শিল্প, সাহিত্য, নৃত্য ও সংগীতের দেশ। তবে সবকটির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল এদেশের সঙ্গীতচর্চা। প্রাচীনকাল থেকেই অনেক নামজাদা ভারতীয় শিল্পী গান গেয়েই ভুবন ভরিয়েছেন। বিশ্বজোড়া খ্যাতিও লাভ করেছেন অনেকেই। তাদের মধ্যে কিশোর কুমার, মহম্মদ রফি, লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলের নাম সর্বজনবিদিত। আর বর্তমান প্রজন্মের এমনই এক শিল্পী হলেন অলকা ইয়াগণিক (Alka Yagnik)। বিগত দশক থেকেই এই শিল্পীর মধুর কণ্ঠে মাতোয়ারা হয়েছেন আপামর শ্রোতাকূল। অনেক বিখ্যাত পুরুষ গায়কদের সাথে ডুয়েট গেয়েছেন তিনি। তবে এই মধুরকণ্ঠী গায়িকা এবার গড়লেন নতুন রেকর্ড।
কলকাতায় জন্মগ্রহণ করা এই গায়িকা অনেক ভাষায় গান গেয়েছেন। তবে বাংলা ও হিন্দিতে তার গানে মাতোয়ারা হয়েছে গোটা দেশ। আর এবার এক নতুন শিরোপা উঠল তার মুকুটে। নামজাদা গায়ক-গায়িকাদের পিছনে ফেলে ইউটিউবে সবথেকে বেশিবার শোনা হল এই গায়িকার গান। অর্থাৎ ২০২২ সালে ইউটিউবে তার গানই সবচেয়ে বেশিবার বেজেছে। গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস একটি প্রতিবেদনে তথ্যটি প্রকাশ পেয়েছে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে অলকা ইয়াগনিকের গান ১৫.৩ বিলিয়ন বার বেজেছে। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ৪২ মিলিয়ন বার বেজেছে তার গান। তাই ৫৬ বকচর বয়সী এই শিল্পীর মাথায় এবার উঠল ‘মোস্ট স্ট্রিমড অ্যাক্ট অন ইউটিউব’ খেতাব।
এই তালিকায় আরো কয়েকজন ভারতীয় গায়কের নাম রয়েছে। তবে অলকার পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পুয়ের্তো রিকোর শিল্পী ব্যাড বানি। তার গান স্ট্রিম হয়েছে ১৪.৭ বিলিয়ন বার। তৃতীয় স্থানে আছেন উদিত নারায়ণ। তার গান বেজেছে ১০.৮ বিলিয়ন বার। চতুর্থ স্থানে অরিজিৎ সিং, যার গান বেজেছে ১০.৭ বিলিয়ন বার। পঞ্চম স্থানে রয়েছেন কুমার শানু। তার গানে ৯.০৯ বিলিয়ন বার বেজেছে।
উল্লেখ্য, লতা মঙ্গেশকর ১ হাজারেরও বেশি ভারতীয় ছবিতে গান করেছেন এবং তার গাওয়া মোট গানের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। এছাড়া ভারতের ৩৬ টি আঞ্চলিক ভাষাতে ও বিদেশি ভাষায় গান গাওয়ার একমাত্র রেকর্ডটি তারই। অন্যদিকে তার অনুজা আশা ভোঁসলে মোট ৯২৫ টিরও বেশি সিনেমায় গান গেয়েছেন। মনে করা হয় তিনি ১২০০০ এরও বেশি গান গেয়েছেন। ২০১১ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাঁকে সর্বাধিক সংখ্যক গান রেকর্ডকারী হিসেবে ঘোষণা করে।
View this post on Instagram