ঐশ্বর্য রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan) যখন অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন, সেই সময় নিজের বেবিবাম্প ওড়না দিয়ে ঢেকে রাখতেন তিনি। কখনও ঐশ্বর্য তাঁর কোনোরকম শারীরিক সমস্যার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় অথবা কোনো সাক্ষাৎকারে শেয়ার করেননি। তিনি এই ক্ষেত্রেও বজায় রেখেছিলেন নিজের সেলিব্রিটি ইমেজ। তবে এবার তাঁর জন্মদিনে মুখ খুললেন অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)।
ঐশ্বর্য এর আগে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, একটি মেয়ে হিসাবে তিনি নিজেকে যথেষ্ট ভাগ্যবতী মনে করেন। কারণ তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরাও তাঁকে নিজের কন্যার মতোই দেখেন। অমিতাভের গলাতেও শোনা গিয়েছে একই সুর। এবার বিগ বি জানালেন, ঐশ্বর্যর অন্তঃসত্ত্বাকালীন সময়কে ঘিরে তাঁদের আশঙ্কার কথা। একই সাথে ঐশ্বর্যর কষ্টের কথাও। এগারো বছর আগে ঐশ্বর্য যখন অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন, তখন তাঁর বয়স ছিল আটত্রিশ বছর। একটু বেশি বয়সে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কারণে ঐশ্বর্যকে নিয়ে চিন্তিত ছিলেন বচ্চন পরিবারের সদস্যরাও। কিন্তু ঐশ্বর্য নিজে আতঙ্কিত ছিলেন না। বিগ বি জানালেন, তাঁর পুত্রবধূ যথেষ্ট দৃঢ় চরিত্রের নারী।
ঐশ্বর্য চাননি, সি-সেকশনের মাধ্যমে তাঁর সন্তানের প্রসব হোক। তিনি নর্মাল ডেলিভারি চেয়েছিলেন। মুম্বইয়ের সেভেন হিলস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ঐশ্বর্য। অমিতাভ জানালেন, ঐশ্বর্য হাসপাতালের ভর্তির চৌদ্দতম রাতে হাসপাতালে পৌঁছান বচ্চন পরিবারের সদস্যরা। বাস্তবিকই সেদিন পাপারাৎজিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েছিলেন অভিষেক বচ্চন (Abhishek Bachchan)। সেই সময় সেভেন হিলস হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসছিলেন তিনি। চারপাশে দেওয়া হয়েছিল ব্যারিকেড। ঐশ্বর্য হাসপাতালে ভর্তির ষোল দিনের মাথায় জন্ম হয় কন্যাসন্তান আরাধ্যা (Aradhya Bachchan)-এর।
অমিতাভ জানিয়েছেন, প্রসব যন্ত্রণা শুরু হওয়ার পর ঐশ্বর্য দুই-তিন ঘন্টা ধরে তা চুপচাপ সহ্য করেছিলেন। এমনকি কোনো ব্যথার ওষুধ খাননি তিনি। তবে আরাধ্যার জন্মের পর বহুদিন বড় পর্দার অন্তরালে থাকলেও কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল সহ বিভিন্ন ইভেন্টে মেয়েকে নিয়েই যেতেন ঐশ্বর্য। পরবর্তীকালে হিন্দি ফিল্ম ‘জযবা’-র মাধ্যমে আবারও ফিল্মে কামব্যাক করেন ঐশ্বর্য। সাম্প্রতিক কালে রিলিজ করেছে মণি রত্নম (Mani Ratnam) নির্মিত ‘পোন্নিয়িন সেলভান 1’। এই ফিল্মে চোল সাম্রাজ্যের রানীর ভূমিকায় দেখা গিয়েছে ঐশ্বর্যকে।
View this post on Instagram