ক্রমশ বাড়ছে আত্মহত্যার ঘটনা। গত মে মাস থেকে একের পর এক মডেল-অভিনেত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। এই ঘটনায় রীতিমত উদ্বিগ্ন রাজ্যের মহিলা কমিশন। ফলে মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, টলিউডের শুটিং ফ্লোরে মানসিক স্বাস্থ্যের ওয়ার্কশপ করানো হবে। মঙ্গলবার, টালিগঞ্জের দাসানি স্টুডিওয় আয়োজিত হয়েছে প্রথম ওয়ার্কশপ। যথেষ্ট ভিড় হয়েছিল সেই ওয়ার্কশপে। বহু শিল্পী ও কলাকূশলীরা নিজেদের মানসিক সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। এদিন উপস্থিত ছিলেন অনামিকা সাহা (Anamika Saha)-ও। ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি যখন নিউকামার ছিলেন, তাঁরও বহু মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল।
অনামিকা জানালেন, সেই সময় এই ধরনের সমস্যা নিয়ে কোনো ভাবনা-চিন্তা হত না। মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (Leena Ganguly)-র এই উদ্যোগ অনামিকার ভালো লেগেছে। অনামিকা জানালেন, তাঁদের সময় ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দেখে শিখতেন তাঁরা। বড় বড় শিল্পীদের কাজ দেখে শিখতে চাইলেও পরিচালকরা ফ্লোরে বসতে দিতে চাইতেন না। তখন পরিচালকদের পায়ে ধরে অনামিকারা অনুরোধ করতেন কাজ দেখতে অনুমতি দেওয়ার।
View this post on Instagram
উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায় (Gyanesh Mukherjee) নির্মিত ‘ফেরারি ফৌজ’ নাটকে অনামিকা প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছিলেন। অনামিকার বাবা বাংলাদেশে থাকতেন। মেয়ে কলেজে যাবে বলে তিনি সোনার ব্যান্ড দেওয়া ঘড়ি উপহার পাঠিয়েছিলেন। সেই ঘড়ি পরে নাটকের রিহার্সালে যেতেন অনামিকা। রিহার্সাল রুমে সংলাপ বলতে বলতে একদিন হাত থেকে ঘড়িটা খুলে পড়ে গিয়েছিল। অনামিকা সংলাপ থামিয়ে ঘড়িটা তুলতে যেতেই জ্ঞানেশ এগিয়ে এসে অনামিকাকে তিরস্কার করে বলেছিলেন, এক থাপ্পড় মারবেন। অভিনয় করতে এসে অন্য কোনোদিকে মন দেওয়া পছন্দ করতেন না তিনি।
অনামিকা বলেছিলেন, তাঁর বাবা নতুন ঘড়ি পাঠিয়েছিলেন। এরপরেই জ্ঞানেশ নিজে ঘড়িটি তুলে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন সোফায়। একসময় অনামিকারও মনে হয়েছিল, জীবনে কিছুই করে উঠতে পারবেন না। তবে তাঁরা নিজেরাই সামলে নিতেন। অনামিকার মতে, মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকলে তাঁরাও ঠিক থাকবেন।
View this post on Instagram