কেরিয়ারের শুরুটা করেছিলেন টেলিভিশন সিরিয়াল “দিন প্রতিদিন” দিয়ে। তারপর অনেক টেলিফিল্মে অভিনয় করেন তিনি। পরবর্তীতে বেশ কিছু সিনেমাই তাকে দেখা যায়। কিন্তু, বিপুল পরিবর্তন আসে যখন তিনি ঋতুপর্ণ ঘোষের “আবহমান (২০০৯)” করেন। এটি মুক্তি পায় ২০১০ সালে। মূলত এই সিনেমাই তাকে বিশেষ পরিচিতি দেয় ও তাকে একজন স্বনামধন্য অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। এমনকি এই সিনেমার জন্যেই তিনি সেরা অভিনেত্রী হিসেবে “জাতীয় পুরস্কার” পান। এছাড়াও, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের ‘মেঘে ঢাকা তারা’ ছবিতে তাঁর কাজ বেশ প্রশংসিত। ভাবছেন কে ইনি? ইনি হলেন ছোট পর্দার সুবর্ণলতা, অর্থাৎ অনন্যা চট্টোপাধ্যায় (Ananya Chatterjee).
আবারও বড় পর্দায় ফিরতে চলেছেন অনন্যা। বহুদিন গায়েব ছিলেন তিনি সিনে জগৎ থেকে। যদিও কিছু মাস আগে ‘মোহমায়া’ ওয়েব সিরিজে তাকে দেখা যায়। এই কাজের জন্যেও বহু প্রশংসা পান অভিনেত্রী। এবার আরো একবার নিজেকে তুলে ধরতে চান অনন্যা একেবারে অন্য রূপে।
হ্যাঁ, এবারে অনন্যা ফিরছেন বড় পর্দায়। পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্রের সঙ্গে কাজ করতে চলেছেন তিনি। অনন্যাকে দেখা যাবে নটী বিনোদনী চরিত্রে। এই গল্পে, নটী বিনোদনী চরিত্রের ছোটবেলায় অভিনয় করবেন রাজনন্দিনী পাল এবং বেশি বয়সের চরিত্রে থাকছেন অনন্যা চট্টোপাধ্যায়।
অনন্যার পাশাপাশি থাকছেন অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। ইনি অভিনয় করবেন গিরীশ ঘোষের ভূমিকায়। এছাড়াও, জ্যোতিরিন্দ্রনাথের ভূমিকায় থাকবেন সাহেব চট্টোপাধ্যায়, এবং রামকৃষ্ণ চরিত্রে থাকছেন অভিনেতা সুব্রত দত্ত। আপনারা ইশা সাহাকেও পেয়ে যাবেন তারাসুন্দরি চরিত্রে। সব মিলিয়ে একটি ধার্মিক সিনেমা আসতে চলেছে যেখানে অনন্যা আবারও হয়তো প্রমাণ করবেন তার অভিনয় দক্ষতা।