জাতীয় পুরস্কার পেয়েও মেলেনি যোগ্য সম্মান, কোথায় হারিয়ে গেলেন ছোট পর্দার সুবর্ণলতা!
কয়েক বছর আগে বাংলা টেলিভিশন হয়ে উঠেছিল দর্শকদের কেন্দ্রবিন্দু। কারণ সন্ধ্যার একটি নির্দিষ্ট সময়ে ‘সুবর্ণলতা’-র জীবনকাহিনীতে চোখ আটকে যেত দর্শকদের। আশাপূর্ণা দেবী (Ashapurna Devi) রচিত কালজয়ী উপন্যাস ‘সুবর্ণলতা’ অবলম্বনে নির্মিত এই ধারাবাহিক ছিল কলকাতার অন্যতম নামী প্রযোজনা সংস্থা ট্রন ভিডিওটিক্স প্রাইভেট লিমিটেডের শেষ সফল প্রোজেক্ট। ‘সুবর্ণলতা’-র টিআরপি শেষদিন অবধি ছিল নজরকাড়া। এই ধারাবাহিকে নামভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন অনন্যা চট্টোপাধ্যায় (Ananya Chatterjee)।
দূরদর্শনের ছোট পর্দা থেকে অভিনয়ের শুরু অনন্যার। কিন্তু নবাগতাকেই ঋতুপর্ণ ঘোষ (Rituparno Ghosh) নির্বাচন করেছিলেন ‘আবহমান’-এর গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। এই ফিল্ম অনন্যাকে এনে দিয়েছিল জাতীয় পুরস্কার। একের পর এক প্রোজেক্টে অনন্যা হয়ে উঠেছিলেন নিয়মিত। ‘সুবর্ণলতা’-র পরেও একাধিক কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি ক্রমশঃ অনন্যার থেকে মুখ ফিরিয়েছে। কারণ তিনি ছিলেন আপোষহীন। রাজনৈতিক দলের গুডবুকে নাম লেখাতে চাননি অনন্যা। ফলে জাতীয় পুরস্কার বিজয়িনীকে মনে পড়ে না প্রযোজক-পরিচালকদের।
কিন্তু মনে রেখেছেন আরও এক লড়াকু সেলিব্রিটি। তাঁর নাম মীর আফসার আলি (Mir Afsar Ali)। কেরিয়ারের শীর্ষে থাকাকালীন ছেড়ে দিয়েছেন রেডিও মিরচির মতো নামী নেটওয়ার্ক। কারণ মীর জানেন, তাঁর প্রতিভায় তিনিই শেষ কথা। বর্তমানে নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন মীর। তার নাম ‘গপ্পোমীরের ঠেক’। প্রত্যেক শনিবার মীরের কন্ঠে শোনা যায় কাহিনীর রেশ। তাঁর সাথে সঙ্গত করেন অন্য তারকারাও। এবার একটি বিশেষ পর্বে মীরের সাথে অনুরাগীদের কাহিনী শোনাতে আসছেন অনন্যাও।
অভিনেত্রী অনন্যা কিন্তু এই ক্ষেত্রেও অভিনেত্রীই রয়ে গেলেন। কন্ঠস্বরের মাধ্যমে অভিনয় করে শোনাতে চলেছেন তিনি। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (Sharatchandra Chatterjee)-র কালজয়ী গল্প ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’ শোনাতে চলেছেন অনন্যা ও মীর। না, অভিনয় ছাড়েননি অনন্যা। কিন্তু তাঁর অভিনয়ের প্রকাশ ঘটতে চলেছে ভিন্ন মাধ্যমে।
View this post on Instagram