পবিত্র রিস্তা দিয়ে জুটি বাঁধেন অঙ্কিতা ও সুশান্ত। মাঝে বিস্তর সময়। অনেকগুলো বসন্ত তারা কাটায় একসঙ্গে। কিন্তু, ২০১৬ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। কিন্তু বিচ্ছেদের পরেই সুশান্তকে একেবারে মুছে ফেলতে পারেননি অঙ্কিতা। তিনি বিচ্ছেদের পর বাড়ির দেওয়ালে সুশান্তের ছবি টাঙিয়ে রাখতেন। তখন অঙ্কিতার বাড়িতে যারা যারা আসতেন প্রত্যেকেই ওই ছবি খুলে রাখার পরামর্শ দিতেন, কিন্তু দীর্ঘ বছরের সম্পর্ক তো এক লহমায় ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়।
‘ঝলক দিখলা যা’ রিয়্যালিটি শো-তে সুশান্ত সিং রাজপুত অঙ্কিতাকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। সেদিন, অঙ্কিতা এক কথায় রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। এরপরেও এই সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত এগোয়নি। এও জানা যায় যে অঙ্কিতা সুশান্তের ব্যাপারে একটু বেশি পজেসিভ ছিলেন। সুশান্ত এরপর একাধিক সম্পর্কে জড়ান, কিন্তু অঙ্কিতা বহু বছর একাই ছিলেন। পরবর্তীতে ভিকি জৈনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান।
পূর্বের এক সাক্ষাৎকার থেকে এও জানা যায় যে শুধুমাত্র সুশান্তের জন্য অঙ্কিতা একাধিক ছবি হাতছাড়া করেন। অঙ্কিতা একবার শাহরুখ খানকে বলেন, “আমার দরকার নেই। আমার প্রেমিকের কাছে যেন ভালো কাজ আসে।”
শুধু শাহরুখ নন, সঞ্জয় লীলা বানসালির কাছ থেকে ‘বাজিরাও মস্তানি’-তে অভিনয় করার সুযোগ আসে অঙ্কিতার কাছে। কিন্তু সেখানেও তিনি না বলেছিলেন। অঙ্কিতা সেদিন সঞ্জয় লীলা বানসালিকে বলেন, “আমি বিয়ে করতে চাই”। সেদিন অঙ্কিতাকে এও শুনতে হয়, “বাজিরাও-তে অভিনয় কর। না হলে পরে আফসোস হবে।” আজ আফসোস করেও লাভ নেই তা তিনি বুঝে গেছেন। সুশান্ত আজ পৃথিবীতেই নেই। যদিও তার জীবন থেকে সুশান্ত আগেই চলে গিয়েছিলেন কিন্তু এখন তিনি এই পঞ্চভূতে মিলিয়ে গেছেন। প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল ফিল্ম এওয়ার্ড অনুষ্ঠানে কঙ্গনার মনিকর্নিকা একটি পুরস্কার পায়। কঙ্গনা সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হন, এবং এই মনিকর্ণিকা দিয়েই বড় পর্দায় অভিষেক হয় অঙ্কিতা লোখান্ডের।